মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি // যশোরের অভয়নগরে ফুলতলার ব্যবসায়ী খন্দকার রাকিবুল হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। অভয়নগর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের ঘটনার কয়েকদিনের ব্যবধানেই ক্লুলেস এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হেয়েছে। এদিকে আটক মেহেদী হাসান সবুজ আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দিও দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন এ হত্যা মিশনে ৩ জন অংশ নিয়েছিল। একজন স্থানীয় ইউপি সদস্যের নির্দেশে তারা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে সবুজ। রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। সবুজ খুলনা ফুলতলার জামিরা গ্রামের মৃত শফিকুল শেখের ছেলে।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মিলন কুমার মন্ডল হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে সবুজকে আটক করেন। আটক সবুজের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ভোররাতে অভয়নগের দত্তগাতি নতুন পাড়ার আজিজ মোল্যার পতিত জমির ঝোপের মধ্যে থেকে হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলের ১ টি ম্যাগজিন,২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ৩ রাউন্ড বারো বোর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
মেহেদী হাসান সবুজ জানিয়েছে, হত্যায় সরাসরি জড়িত তিন জন তার পরিচিত। হত্যাকারীদের একজন তাকে ফোন করে জানিয়েছিল অস্ত্র ও গুলি ঘটনাস্থলের পাশের একটি পতিত জমিতে রেখে আসছে তারা।এ অস্ত্র ও গুলি নিয়ে তার হেফাজতের রাখতে বলে ছিল তারা। মেহেদী তাদের কথা মত ঘটনাস্থলে যেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে অস্ত্র ও গুলি খুজে পায়নি।স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যের নির্দেশে ভাড়াটিয়া হিসেবে তারা তিনজন তাকে গুলি করে পালিয়েছিল। পরে পুলিশ তাকে আটক করে ওই পতিত জমির ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে গেলে ম্যাগজিন ও গুলি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মেহেদী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে,খুলনা ফুলতলার আলকা গ্রামের মৃত মাহবুব খন্দকারের ছেলে খন্দকার রাকিবুল ইসলাম ফুলতলা বাজারে ফার্নিসারের ব্যবসা করতেন। সেই সাথে তিনি ফুলতলা বাজার বনিক সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। গত ১২ মে বিকেলে আছরের নামাজ শেষে বাইরে কাজ আছে বলে মোটরসাইকেল নিয়ে রাকিবুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তিনি এক নারীকে নিয়ে পাওনা টাকা আনতে যান অভয়নগরে। অভয়নগরের মিলন মেম্বরের সাথে কথা শেষে রাত ৮টার দিকে দত্তগাতি গ্রামের সরকারি প্রাথমিক স্কুলের কাছে হাবিবুল্লাহর বাড়ির সামনে পৌঁছালে কয়েকজন লোক তার গতিরোধ করে বুকে ও মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে রাকিবুল নিহত ও সাথে থাকা নারী আহত হন। স্থানীয়রা রাকিবুল ও তার সাথে থাকা নারীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবুলকে মৃত ঘোষণা করে এবং আহত নারীকে চিকিৎসা প্রদান করে। এ ঘটনায় নিহতের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মিলন কুমার মন্ডল হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এরআগে ৫ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছেন।গতকাল রোববার হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মেহেদী হাসান সবুজকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের ম্যাগজিন ও পিস্তল এবং শর্টগানের গুলি উদ্ধার করেন। গতকাল আটক মেহেদী হাসান সবুজকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। মেহেদী নিজে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও হত্যার পরবর্তী তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বলে স্বীকার করেছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।