খুলনার খবর ||ফ্যাসিবাদ সরকারের বিদায় হলেও দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরাজিত ফ্যাসিবাদরা গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। নির্বাচন দিতে দেরি হলে এই চক্র আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার দীর্ঘদিন থাকলে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার জন্ম নেয়। বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব খুব দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন এবং নির্বাচনে নির্বাচিতরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সোনাডাঙ্গা থানার অর্ন্তগত ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় শেখপাড়া বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পতিত হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ঘুষ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে পড়ে দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছিলো।
পতিত শাসকগোষ্ঠী হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ধনী-দরিদ্রের বিশাল ব্যবধান সৃষ্টি করে সামাজিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে।
মানুষের রাজনৈতিক ও ভোটাধিকার ছিনতাই করে দিনের ভোট রাতে করে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এক নিকৃষ্ট পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
নতুন প্রজন্মকে জাতি সত্ত্বার পরিচয় ভুলিয়ে দিতে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক ইতিহাস রচনা করে জাতির ভবিষ্যতের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট আ’লীগ। সর্বত্র বৈষম্য, বিরোধ এবং বঞ্চনার শিকার হয়ে মানুষ মুক্তির অপেক্ষায় ছিল।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার সাহসী ও ত্যাগী ভূমিকার কারণে দেশের মানুষ আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি তা হারিয়ে যেতে দিবো না। বিএনপি প্রদত্ত ৩১দফা সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সত্যিকারের বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে।
ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রাম নিরন্তর। এই সংগ্রামে যখন কোনো দেশের সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তখন তা ওই দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয়। জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ৩১দফার আলোকে দারিদ্র্য জয় করতে পারব।
আর সে জন্য আমাদের সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ তথা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। এজন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি। দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থাই পারে দারিদ্র্যসহ সকল ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, দেশের দুঃসময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা বেঈমানী করে ৮৬এর নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো।
খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে ৯ বছর স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে এরশাদ সরকারকে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সর্বশেষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘটেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন শেখ হাসিনা পালায়না। অথচ গোষ্টিসহ পালিয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
তুহিন আরো বলেন, পতিত সরকারের দোসররা দেশকে আবারো অস্থির করার পায়তারা করছে। সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে দেখানেই পতিত সরকারের দোসররা সংঘবদ্ধ হবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, মহানগর শ্রমিকদলের আহবায়ক মজিবর রহমান, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, মহিলা দলের থানা আহবায়ক মুন্নী জামান, সদস্য সচিব এড. কামরুন্নাহার হেনা, হাবিবুর রহমান, আবুল ওয়ারা, বক্কার মীর, মীর মোসলেহ উদ্দিন বাবর, গাজী নুর মোহাম্মদ, এনামুল কবির, শফিকুল ইসলাম, মোল্লা মিজান, শাহাজাহান কবির মিঠু, আবুল কালাম, আতিয়ার রহমান, আমিন হোসেন মিঠু, শেখ ফিরোজ, মাসুদ পারভেজ বাবু, ইয়াসিন আরাফাত, গাজি আতিক, রাজা, লাভলু খন্দকার, রিপন সিকদার, গোলাম রসূল রনি, ডা: ছোট্টু, মোহাম্মদ গাউস, নূরে আলম রিপন, বাবুল তালুকদার, রাশেদ, আজাদ খান, সোহাগ, নুরু, মোহাম্মদ সেলিম, মো. শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ সেলিম, সাবু খন্দকার, আরমান, শেখ শামীম, শেখ হাফিজ, মোহাম্মদ বাবর, ডঃ মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ নাসির প্রমূখ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।