খুলনার খবর ||বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈধ ও পবিত্র সম্পর্ক স্থাপিত হয়, যা দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করার পথ। এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন— “যে ব্যক্তি বিয়ে করল সে তার অর্ধেক ইমান পূর্ণ করল। তাই সে যেন বাকি অর্ধেকাংশে আল্লাহকে ভয় করে।” (বায়হাকি, শুআবুল ইমান)
বিয়ে সম্পাদনের মৌলিক শর্ত:
১. ইজাব (প্রস্তাব)
২. কবুল (গ্রহণ)
৩. স্পষ্ট বাক্য (যা দ্বারা নিকাহ বোঝা যায়)
৪. সাক্ষী (২ পুরুষ অথবা ১ পুরুষ ও ২ নারী)
‘কবুল’ শব্দ ছাড়াও যেসব শব্দে বিয়ে সহীহ হয়:
১. ক্ববিলতু – আমি গ্রহণ করলাম
২. রদ্বিতু – আমি সন্তুষ্ট/রাজি হলাম
৩. তাজায়াজ্জাত্তুহা – আমি তাকে বিবাহ করলাম
৪. আনকাহতু নাফসি ইয়্যাহু – আমি নিজেকে তার সঙ্গে বিবাহ করলাম
৫. আজাযতুহু – আমি একে অনুমোদন করলাম
ফিকহি দলিলসমূহ:
ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: نكاح جائز শব্দ— أنكحتُ, تزوجتُ, قبلتُ, رضيتُ
হেদায়া: কবুল এমন শব্দে হতে হবে যা স্পষ্ট করে নিকাহ বোঝায়
ফতোয়ায়ে শামী: নিকাহ সেই শব্দে সহীহ যা মালিকানা বুঝায়, যেমন— زوجتك, أنكحتك
কোরআন থেকেও ইঙ্গিত পাওয়া যায়: “ভদ্রভাবে স্ত্রীর সঙ্গে জীবন যাপন করো, কিংবা সম্মানের সঙ্গে তাকে বিদায় দাও।” (সূরা বাকারা, ২:২২৯)
হাদিসের দলিল:
“নিকাহ পরস্পরের সম্মতির ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়।” (সুনান ইবনু মাজাহ)
সারসংক্ষেপ:
‘আমি কবুল করলাম’ বলাই উত্তম হলেও ফিকহে হানাফি মতে, নিকাহের স্পষ্ট অর্থবোধক বিকল্প শব্দ থাকলে, প্রেক্ষাপট স্পষ্ট হলে এবং সাক্ষী উপস্থিত থাকলে সেই বিয়েও সহীহ বলে গণ্য হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।