1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
চিতলমারীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিশুদের পাঠদান, দুর্ঘটনার আশঙ্কা - Khulnar Khobor
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনী জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF) যশোর-নড়াইল মহাসড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত মোটরসাইকেল আরোহী ডুমুরিয়ার দর্শক নন্দিত সামাজিক যাত্রাপালা বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কেশবপুরে শারীরিক শিক্ষা কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুর্যোগ প্রবন কয়রার অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করতে হবে কেশবপুরে খতিব ও উলামা মাশায়েখ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মোংলা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত – ২ কয়রায় কালবেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তারা অল্প সম‌য়ে পাঠকের অন্তরের জায়গা করে নিয়েছে কালবেলা বিএনপি বাংলাদেশে ভেসে আসা দল নয় বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়রায় ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পিকে বিজয়ী করতে কর্মী সভা নওগাঁ মান্দায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বালু জব্দ করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় যশোর শার্শায় গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে তরুণীর মৃত্যু খুলনার খবরের বার্তা প্রধান এফ.এম.আজাদকে অব্যাহতি দিঘলিয়ায় নিজ দোকানের সামনে চাচাতো ভাইদের হামলায় দোকানদার গুরুতর আহত মোল্লাহাটে জামায়াতের কর্মীসভায় ঐক্যের ডাক আজিজুল বারী হেলালকে খুলনা-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করায় শোকরানা দোয়া অনুষ্ঠান  বোয়ালমারীতে নিতাই রায় চৌধুরীর গাড়ী আটকে বিক্ষোভ বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষিঅধি দপ্তরে কৃষকদের মাঝে  সার ও বীজ বিতরণে শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে কে, কে কে, বি দারুস সুন্নাহ কওমী মাদরাসায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

চিতলমারীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিশুদের পাঠদান, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
  • ১৬১ বার শেয়ার হয়েছে

খুলনার খবর ||টিনের ছাউনি ছিঁড়ে ঝুলে পড়েছে। ঝুলে পড়া টিনের নিচ দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাফেরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ফুটো টিন দিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। শিক্ষাথীদের বইখাতা ভিজে যায়।

এ ছাড়া কক্ষের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। মাঝে মধ্যে দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ৪০ নং আড়–য়াবর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। অপরদিকে, শ্রেণী কক্ষ সংকটে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এক ব্রেঞ্চে গাদাগাদি করে পাঠদান করছে। তাই শিক্ষার মানোন্নয়নে ওই স্কুলের শিক্ষকেরা নতুন ভবন নির্মাণের দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আড়–য়াবর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি সরকারিকরণ হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৮৯ সালে চার কক্ষবিশিষ্ট টিনের ছাউনির এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়।

সেই থেকে এ ভবনের দুটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, একটি কক্ষ স্টোর ও একটি কক্ষ বিদ্যালয়ের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের অনেক জায়গায় দেয়াল ও বিমে ফাটল ধরেছে। খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা।

টিনের ছাউনি ছিঁড়ে ঝুলে পড়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপ‚র্ণ এ ভবনে পঞ্চম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।

৪০ নং আড়–য়াবর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানিয়া, মাছুমা, সোনিয়া, আয়শা,  ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাকিল খান, রকিবুল ও শহিদুল জানায়, ওই কক্ষে ক্লাস করতে তাদের ভয় লাগে।

তাছাড়া সামান্য বিষ্টি হলেই পানি পড়ে বইখাতা ভিজে যায়। ক্লাসে ছাদের পলেস্তারা খুলে তাদের গায়ে পড়ে। অনেক ভয় লাগে। আকাশে মেঘ দেখলে বাবা-মা স্কুলে আসতে দিতে চান না।

শাহা আলম দাড়িয়া ও রহমত মোল্লা নামের দুই অভিভাবক বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে আমাদের সন্তান পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ের ভবন এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকি। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে না।’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলতানা পারভিন ও লোপা রানী মন্ডল জানান, একদিকে শ্রেণী কক্ষের স্বল্পতার জন্য শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। যার জন্য পাঠদান ব্যাহত হয়। অপরদিকে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ ফেরদাউস হোসাইন বলেন, ‘আমার স্কুলে ২২৬ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই ভবনটিতে শিক্ষকরা পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কারো কাম্য নয়। এ ছাড়া এখানে অনুমোদিত শিক্ষকের পোস্ট ৯ টি। কর্মরত আছেন ৮ জন। তার মধ্যে একজন ডেপুটিশনে।’

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে তারা শুধু দীর্ঘদিন থেকে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।
চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটি আসলে ঝুঁকিপ‚র্ণ এটা আমি জানি।

প্রধান শিক্ষকের কাছে কাগজপত্র চেয়েছি, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।