1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মোংলায় ছায়া-অস্ত্রের এক ভয়াল প্রহসন! যুবদল নেতা রাহাত হোসেন মুন্নার ওপর বর্বরোচিত হামলার নেপথ্যে বেরিয়ে আাসছে - Khulnar Khobor
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
মোল্লাহাটের নগরকান্দি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। মোল্লাহাটে দেশনেন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তেরখাদায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন কর্মচারীদের নিয়োগ বিধি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু খুলনায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় সাবেক যুবনেতা সোহেল আহমেদের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খুলনায় নিসচা’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ক্লে-রোড, কে.ডি. ঘোষ ও ডাকবাংলো এলাকার সড়ক ও ফুটপথ থেকে অবৈধ দখলদারদের অপসারণ অভিযান পাইকগাছায় জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা বন্ধে প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এমইউজে খুলনার দোয়া যশোরে চোরাই ইজিবাইক নিয়ে দ্বন্দ্ব নারী ছুরিকাহত গ্রামপুলিশকে গণধোলাই কেশবপুরে ভাইপোর বিরুদ্ধে চাচার সংবাদ সম্মেলন মোংলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ডুমুরিয়ায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন, প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শার্শায় খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে আলোচনা ও দোয়া আনুষ্ঠিত যশোরে অবৈধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগে দুটি দোকানে অভিযান বিশ্ব এইডস দিবস যশোরে সচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত খুলনার সমাবেশ মঞ্চে জামায়াতের আমির ও চরমোনাই পীর   মোল্লাহাটে অভিনব কায়দায় চলছে অতিথি পাখি শিকার। ৭৪ বছর পূর্ণ করে ৭৫ বছরে পদার্পণ করলো মোংলা বন্দর ১ নং জলমা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এ ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ।

মোংলায় ছায়া-অস্ত্রের এক ভয়াল প্রহসন! যুবদল নেতা রাহাত হোসেন মুন্নার ওপর বর্বরোচিত হামলার নেপথ্যে বেরিয়ে আাসছে

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ৮৪৩ বার শেয়ার হয়েছে

অতনু চৌধুরী(রাজু) বাগেরহাট প্রতিনিধি||মোংলার রাজনীতিতে একের পর এক চমক। যুবদল নেতা রাহাত হোসেন মুন্নার ওপর বর্বরোচিত হামলার নেপথ্যে বেরিয়ে আসছে এমন সব তথ্য, যা গোয়েন্দা কাহিনির মতো শিহরণ জাগায়।

এটি কোনো তাৎক্ষণিক বা রাগান্বিত প্রতিক্রিয়া ছিল না—বরং সুপরিকল্পিত, নিখুঁতভাবে সাজানো এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক প্রহসন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থার বরাতে জানা গেছে, এই হামলার ছায়া বিস্তৃত রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক জগত পর্যন্ত।

এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ৯’জুন রাতে আর কাটাখালী ঘাটসংলগ্ন বিলাসবহুল এক রিসোর্টে গোপন বৈঠকে বসেন ছয়জন ষড়যন্ত্রকারী—পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী। বৈঠকে চট্টগ্রাম থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হন এক প্রভাবশালী শিপিং ব্যবসায়ীর আত্মীয়, যিনি মূল পরিকল্পনার রূপকার বলে গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন।

রিসোর্টে ঢোকার আগেই অংশগ্রহণকারীদের মোবাইল জমা রাখা হয়। আশপাশে সিসিটিভি না থাকা এবং কড়া নিরাপত্তা—সবই ছিল পূর্বপরিকল্পনার অংশ।

সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় মদ, নারী ও বিকৃত উল্লাসের আয়োজন। সেই নেশাগ্রস্ত পরিবেশেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়—মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার পরিকল্পনা।

এ বিষয়ে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মন্তব্য করে বলেন, পরিকল্পনাটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যেন মানুষ নয়, হিংস্র থাবার জন্য তৈরি করা হচ্ছে এক শিকার।

পরদিন ১০’জুন সকাল থেকেই মুন্নার ওপর নজরদারি শুরু হয়। অন্তত তিনটি ভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তার চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা হয়। মোবাইলের মাধ্যমে চলে সমন্বয়। প্রত্যেকের কোমরে ছিল চাপাতি ও রড। মুহূর্তেই ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতিতে ছিল তারা।

হামলার পর সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য আসে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ঘিরে। ঘটনার সময় তিনিই ছিলেন মুন্নার সঙ্গে, এমনকি খুলনা মেডিকেলেও তাকে নিয়ে যান। অথচ তদন্তে দেখা যায়, তিনি নিজেই ষড়যন্ত্রকারীদের একজন। একে বলা হচ্ছে ইনফিলট্রেটর, যার কাজ ছিল হামলার পরে সহানুভূতির মুখোশ পরে তথ্য ধামাচাপা দেওয়া এবং চক্রকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া।

তদন্তে উঠে এসেছেন রাজনৈতিক হিংসা, অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত শত্রুতার এক জটিল মিশেল। চট্টগ্রামের শিপিং ব্যবসায়ীকে ঘিরে পুরনো বিরোধ, রিজেশন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টানাপোড়েন এবং মোংলার একটি ৫০ বেড হাসপাতাল ঘিরে ঘটনার আগের দিন উত্তেজনা—সবকিছু মিলিয়েই মুন্না হয়ে ওঠেন ‘টার্গেট’।

কিন্তু এ তদন্তে উঠে এসেছেন আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম এলেও এখনো তা প্রকাশ করা হয়নি।

একাধিক সূত্র বলছেন, মুন্নার ওপর হামলার পর মোংলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “মুন্না ছিলেন এলাকার একমাত্র কণ্ঠ, যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন।

এখন সেই কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে।” নেতাকর্মীরা দ্রুত বিচার দাবি করে বলছেন, আজ মুন্না, কাল হয়তো আমরা। এই রাজনীতি থামানো না গেলে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, তদন্তে সবদিক বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। তবে তদন্তকে প্রভাবমুক্ত রাখতে নিরপেক্ষ মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এদিকে যুবদল নেতারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন, আর মুন্নার পরিবার প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, “আমরা—এই বর্বরতার বিচার চাই।

সর্বশেষে, এই হামলা নিছক একটি সন্ত্রাসী ঘটনার চেয়ে বেশি কিছু—এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা। প্রতিপক্ষের কণ্ঠস্বর চিরতরে স্তব্ধ করার এক নিষ্ঠুর প্রয়াস। প্রশ্ন একটাই—এই ছায়া-অস্ত্রের নকশা যারা এঁকেছে, তারা কি আদৌ আইনের জালে ধরা পড়বে? নাকি আবারও চাপা পড়ে যাবে একটি নাম, একটি প্রতিবাদী কণ্ঠ—রাহাত হোসেন মুন্না।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।