1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
কানাকুয়া পাখির ডাকে কি, বৃষ্টি নামে? - Khulnar Khobor
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
বটিয়াঘাটার ৩ ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান পাপুলের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনায় আমার দেশ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের ‎ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ‎খুলনা জেলা শাখা, খুলনা ‎ তেরখাদার নৌকাডুবি চোমরা গ্রামের মধ্যবর্তী নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত কেশবপুরের এস,এস,জি বরণডালী মাঃ বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ/ঘটতে পারে অঘটন যশোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৬৫ বোতল বিদেশী মদসহ আটক এক সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের দীর্ঘ অভিযান, নিখোঁজ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার। চিতলমারীতে কিস্তির জন্য গৃহবধূর আংটি-বদনা নিয়ে গেলেন এনজিওকর্মী। শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনী জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF) যশোর-নড়াইল মহাসড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত মোটরসাইকেল আরোহী ডুমুরিয়ার দর্শক নন্দিত সামাজিক যাত্রাপালা বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কেশবপুরে শারীরিক শিক্ষা কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুর্যোগ প্রবন কয়রার অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করতে হবে কেশবপুরে খতিব ও উলামা মাশায়েখ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মোংলা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত – ২ কয়রায় কালবেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তারা অল্প সম‌য়ে পাঠকের অন্তরের জায়গা করে নিয়েছে কালবেলা বিএনপি বাংলাদেশে ভেসে আসা দল নয় বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়রায় ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পিকে বিজয়ী করতে কর্মী সভা

কানাকুয়া পাখির ডাকে কি, বৃষ্টি নামে?

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ১২৫ বার শেয়ার হয়েছে

অদিতি সাহা,খুলনার খবর ||একটা সময় ছিল, যখন গ্রামের সকালে কিংবা দুপুরের বৃষ্টিভেজা বাতাসে হঠাৎ করেই কোথা থেকে যেন এক মিষ্টি অথচ রহস্যময় সুরে ভেসে আসতো—কুপ-কুপ-কুপ।

সেই সুরে যেন প্রকৃতি নিজেই ডাকে; কারও মনোযোগ চায়। আশপাশের বড়রা তখন বলতেন, ‘দেখিস, কানাকুয়া ডাকছে, এখনই বৃষ্টি নামবে!’ যেন পাখির ডাকেই প্রকৃতি সাড়া দেয়। এ বিশ্বাস শুধু কুসংস্কার নয় বরং প্রকৃতি আর প্রাণীর মাঝে গভীর সম্পর্কের প্রমাণ।

বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনে পরিচিত এক পাখির নাম কানাকুয়া। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘গ্রেটার কোকাল’ আর বৈজ্ঞানিক নাম ‘সেন্ট্রোপাস সাইনেনসিস’। এটি কোকিল পরিবারের সদস্য হলেও কোকিলের মতো পরজীবী নয়। কোকিল যেমন অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে; কানাকুয়া কিন্তু নিজের মতো করে ঝোঁপঝাড়ের মধ্যে বাসা বানিয়ে সংসার সাজায়।

বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাখিটির আছে নানা নাম। কেউ বলে কুপ পাখি, কেউ বলে কুবো, কানাকুও। আবার কোথাও কুক্কাল, কানাকোকা কিংবা কানা কুবো। যদিও কানা শব্দটি ব্যবহৃত হলেও পাখিটি অন্ধ নয়। এসব নাম মূলত তাদের ডাকের সুরের ওপর ভিত্তি করেই এসেছে।
পাখিটির রং অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পুরো শরীর কালচে, তবে সূর্যের আলোতে তা চকচকে হয়। ডানাগুলো বাদামি রঙের, লম্বা লেজ একদম কুচকুচে কালো। চোখের মণি কালো হলেও তার চারপাশ ঘিরে থাকে লালচে বৃত্ত, যা একে রহস্যময় রূপ দেয়। পা থেকে নখ পর্যন্ত কালো বর্ণের। হাঁটা-চলা করে নিঃশব্দে, যেন প্রকৃতির নীরব এক চরিত্র। গাছের ডালে কম বসে বরং ঝোঁপঝাড়, খালপাড় কিংবা ধানক্ষেতের গা ঘেঁষে চুপচাপ হেঁটে চলে।

কানাকুয়া মূলত মাংসাশী পাখি। তারা শুঁয়োপোকা, ঘাসফড়িং, টিকটিকি, ব্যাঙ—এমনকি ছোট পাখির ডিম ও ছানা খেয়ে থাকে। ফলে ছোট পাখিরা একে ভয় পায়। প্রায়ই একা দেখা যায়, তবে জোড়া বাঁধলে যুগলে ঘোরে। এদের চলাফেরায় যেমন ধীরতা; তেমনই আছে একধরনের আত্মস্থতা।
বাংলার লোকসংস্কৃতিতে কানাকুয়ার ডাক একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্বাসে রূপ নিয়েছে। বলা হয়, এ পাখি ডাকলে বৃষ্টি হয়। আবার কিছু অঞ্চলে বিশ্বাস করা হয়, এ পাখির ডাক শোনা মানেই কোনো অশুভ সংবাদ আসতে পারে। যদিও এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে লোকজ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। প্রাকৃতিক ছন্দের সঙ্গে এদের ডাকার সময় এবং আবহাওয়ার মিল দেখে হয়তো মানুষের মনে এ বিশ্বাস গেঁথে আছে।

একসময় গ্রামে সহজেই চোখে পড়তো এ পাখি। কিন্তু এখন অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। নগরায়ন, বনাঞ্চলের অবলুপ্তি, অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার আর খাদ্যচক্রের ভারসাম্যহীনতার কারণে আজ কানাকুয়াও বিপন্ন হওয়ার পথে। শহরের ইট-পাথরের জঞ্জালে এরা হারিয়ে যেতে বসেছে।

তবুও এখনো যারা ভোরবেলা গ্রাম কিংবা শহরের সবুজ প্রান্তে হাঁটতে যান; তারা কখনো কখনো শুনতে পান সেই চিরচেনা ডাক—কুপ-কুপ-কুপ। তখন বাতাসে মিশে যায় এক মধুর স্মৃতি। চোখে ভেসে ওঠে দাদার গল্প। দাদি মুখে হাসি এনে বলে উঠতেন, ‘দেখিস, কানাকুয়া ডাকছে—বৃষ্টি নামবে!’

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।