1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত ৭টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে , ভাঙন ঝুঁকিতে আরও কয়েকটি - Khulnar Khobor
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
পিকআপভর্তি আসবাবের ভেতর মিলল ৪৫ কেজি গাঁজা যশোরে আটক দুইজন নওগাঁয় ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা” প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ‎ দিঘলিয়ায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভিনন্দন মিছিল পাইকগাছায় শিক্ষক বদিউজ্জামানের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাগেরহাটের তিন আসনে মনোনয়ন ফরম কিনলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ এইচ সেলিম। খুলনার সোনাডাঙায় মুক্তা হাউজে এনসিপি নেতাকে গুলি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর সদস্যদের ঢাকা ত্যাগ যশোরে ইজিবাইকে ওঠাই কাল হলো ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু খুলনা-৪ আসনে মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন এর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বাগেরহাটের চার আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত দিঘলিয়ায় মায়ের কাছ থেকে সুকৌশলে জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে বের যশোরের সাবেক কাউন্সিলার আলোচিত টাক মিলন ঢাকা থেকে আটক লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত দৈনিক সংগ্রামের খুলনা বিভাগীয় সংবাদদাতা সম্মেলন দিঘলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতির ইন্তেকালে শোক ডুমুরিয়ায় ব্যানার,ফেস্টুন,তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পাইকগাছায় ধানের শীষের প্রার্থী বাপ্পী’কে বিজয়ের লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতবিনিময় সভা  নৌবাহিনীর অভিযানে টেকনাফে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার সাংবাদিক ও পুলিশ একে অপরের পরিপূরক: অফিসার ইনচার্জ মোল্লাহাট বাগেরহাট – ৩ সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস।

সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত ৭টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে , ভাঙন ঝুঁকিতে আরও কয়েকটি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ১১১ বার শেয়ার হয়েছে

খুলনার খবর ||ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতায় সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত অন্তত সাতটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে নদীতে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি।

ব্রিজ নির্মাণের সময় অনুসরণ করা হয়নি সিএস রেকর্ড। নেওয়া হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতামতও। যে কারণে নির্মাণের কয়েক বছর না যেতেই এসব ব্রিজ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

এদিকে মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রিজ সাতটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের জনসাধারণের। জেলা সদরে আসতে মাত্র ৪-১০ কিলোমিটার রাস্তার পরিবর্তে তাদের পাড়ি দিতে হচ্ছে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময় ও খরচও বেড়েছে স্থানীয়দের।

এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। ভেঙে পড়া ব্রিজগুলো হলো, বাকড়া ব্রিজ, টিকেট ব্রিজ, হিজলডাঙ্গা ব্রিজ, চরগোবিন্দপুর ব্রিজ, শিমুলবাড়িয়া ব্রিজ, ডাড়ার খাল ব্রিজ ও এল­ারচর ব্রিজ। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মিত ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্য ১০ মিটার থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোনটি ভেঙে নদীর মাঝখানে পড়ে আছে, কোনটির এক পাশ পাড়ে ঝুলছে, তো অপর পাশ ভেঙে নদীতে পড়েছে। কোনটির একপাশে বাঁশ বেঁধে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ, কোনটির উপর চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাকো। ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় যখন এসব ব্রিজ নির্মাণ করে তখন ভরাট হয়ে সরু খালে পরিণত হয়েছিল মরিচ্চাপ নদী। এরপর ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মরিচ্চাপ নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। এতে নদী ফিরে পায় পুরনো রূপ, বেড়ে যায় প্রস্থ। চাপ বাড়ে জোয়ারের পানিরও। এতে দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ে।

চরগোবিন্দপুর এলাকার শুকুর আলী সরদার বলেন, মরিচ্চাপ নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল তখন নদীতে জোয়ার-ভাটা হতো না। নদী খননের পর এখন নিয়মিত জোয়ার ভাটা হচ্ছে। নদীর তুলনায় ব্রিজগুলো এতো ছোট যে, পানির তোড়ে ব্রিজের এপ্রোচ সড়ক ভেঙে পড়েছে। শুধু চরগোবিন্দপুর ব্রিজই নয়, এই নদীর সব ব্রিজের একই অবস্থা।

ডাড়ার খাল এলাকার আব্দুল মাজেদ জানান, ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ায় হাটবাজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে জেলা সদরে যেতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না তাদের ছেলে-মেয়েরা। একই সাথে ঘের অধ্যুষিত হওয়ায় উৎপাদিত মাছ বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না তারা।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান বলেন স্থান ভেদে মরিচ্চাপ নদীর প্রস্থ ৫০-৭০ মিটার। কিন্তু এ নদীর উপর নির্মিত ব্রিজগুলো সর্বোচ্চ ২০ মিটার হতে পারে। এতো বড় নদীর উপর এমন ছোট ছোট ব্রিজ টিকবে কিভাবে?

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নদী বা খালে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে হলে এনওসি নিতে হয়, যা এসব ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি। ব্রিজগুলো যখন নির্মাণ হয়েছে তখন মরিচ্চাপ নদী ছিল সরু খালের মতো। আমরা নদীর সীমানা অনুযায়ী খনন করেছি। কিন্তু ব্রিজগুলো নদীর সীমানা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি।

পাউবোর এই কর্মকর্তার বক্তব্য মিলে যায় একই নদীর উপর এলজিইডি নির্মিত ব্যাংদহা ব্রিজের সাথে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক  অর্থায়নে ২০২২ সালে নির্মিত এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। নদী খননের পর অন্যান্য ব্রিজ ভেঙে পড়লেও ব্যাংদহা ব্রিজ ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়েব আহমেদ বলেন, ধসে পড়া সাতটি ব্রিজের মধ্যে চারটি এলজিইডির মাধ্যমে নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।