খুলনার খবর || বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও নৌবহরের ত্রিমাত্রিক সক্ষমতার বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নতুন তিনটি ডাইভিং বোট বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে।

মাননীয় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি খুলনা নেভাল জেটিতে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নতুন তিনটি ডাইভিং বোট ‘পানকৌরি, গাংচিল ও মাছরাঙ্গা’ নৌবহরে যুক্ত করতঃ জাহাজসমূহের অধিনায়কবৃন্দ যথাক্রমে লেঃ কমান্ডার নুরম্নজ্জামান শেখ, (জি), বিসিজিএম, বিএন, লেঃ কমান্ডার মোঃ সোহেল রানা, (ট্যাজ), পিসিজিএম, বিএন এবং লেঃ কমান্ডার মোঃ সাফর উদ্দিন বিশ্বাস, (ট্যাজ), বিএন এর নিকট কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন।

এসময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাগণসহ সামরিক ও অসামরিক বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকবৃন্দের পরিবারবর্গ এবং বিপুল সংখ্যক নাবিক উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফুলী নদীর ফেয়ারওয়ে এলাকায় মাইন ও ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজ অপসারনের জন্য তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্পেশাল এক্সপিডিশন-১২ এর ৮০০ জন রাশিয়ান মেরিনার এপ্রিল ১৯৭২ হতে ১৯৭৪ সময়কালে মাইন সুইপিং ও শিপ সুইপিং অপারেশন পরিচালনা করে।

এই বিশেষায়িত ফরমেশনের ডুবুরি ও মাইন সুইপিং দল কর্তৃক ডাইভিং বোট Y-1 হতে মাইন সুইপিং ও ডাইভিং অপারেশন পরিচালনা করা হতো।
অপারেশন শেষে সোভিয়েত নৌবহিনী এই ডাইভিং বোটটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। নৌবাহিনীর ডুবুরি কর্মকান্ড এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে সুদীর্ঘকাল ব্যবহারে পর ০৭ মে ২০২০ ডাইভিং বোটটি অচল হিসেবে ফেজ আউট ঘোষণা করে ডিসপোজ অফ করা হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নব সংযোজিত তিনটি ডাইভিং বোটের দৈর্ঘ্যে ৩৮.৯০ মিটার এবং প্রন্থে ৯ মিটার। এটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। জাহাজত্রয়ে আধুনিক প্রযুক্তির Launch and Recovery System (LRAS), Deck decompression chambers (DDC), ১২.৭ মিঃ মিঃ হেভি মেশিন গান, অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স র্যাডার, জিপিএস, ইকো-সাউন্ডার সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরণের আধুনিক ডাইভিং সরঞ্জাম এবং সেন্সর দ্বারা সু-সজ্জিত। ডাইভিং বোটসমুহ শান্তিকালীন ও যুদ্ধকালীন উভয় পরিবেশে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
এই ডাইভিং বোট ০৩ টি শান্তিকালীন সময়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রদান, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা, সামুদ্রিক পরিবেশ সংরক্ষণ, উপকূলীয় এলাকায় জলদস্যু দমন ও চোরাচালান রোধ ইত্যাদি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
এছাড়া, ডাইভিং অপারেশন, Search and Rescue বা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, স্যালভেজ অপারেশন, দুর্যোগ ও ত্রান তৎপরতায় অংশগ্রহণ, সমুদ্র এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদিসহ বিভিন্ন কনস্টাবুলারী দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।