1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
নগরজুড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা পালন - Khulnar Khobor
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
খুলনা-৪ আসনে মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন এর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বাগেরহাটের চার আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত দিঘলিয়ায় মায়ের কাছ থেকে সুকৌশলে জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে বের যশোরের সাবেক কাউন্সিলার আলোচিত টাক মিলন ঢাকা থেকে আটক লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত দৈনিক সংগ্রামের খুলনা বিভাগীয় সংবাদদাতা সম্মেলন দিঘলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতির ইন্তেকালে শোক ডুমুরিয়ায় ব্যানার,ফেস্টুন,তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পাইকগাছায় ধানের শীষের প্রার্থী বাপ্পী’কে বিজয়ের লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতবিনিময় সভা  নৌবাহিনীর অভিযানে টেকনাফে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার সাংবাদিক ও পুলিশ একে অপরের পরিপূরক: অফিসার ইনচার্জ মোল্লাহাট বাগেরহাট – ৩ সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস। মোল্লাহাটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এরশাদ সরদার  আহত। শহিদ হাদির জানাজার সময় পরিবর্তন হয়ে বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যডভোকেট আজমল হোসেন বাচ্চুর পক্ষে মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে উদ্বোধন হলো স্প্রিং-২০২৬ এর এ্যাডমিশন ফেয়ার পাইকগাছায় ধানের শীষের প্রার্থী বাপ্পী’কে বিজয়ের লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতবিনিময় সভা  ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাজা খুলনার আড়ংঘাটায় সাংবাদিক কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কেশবপুরে কালব’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

নগরজুড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা পালন

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
  • ১৫৬ বার শেয়ার হয়েছে

অদিতি সাহা, খুলনার খবর ||’যেই গৌর সেই কৃষ্ণ সেই জগন্নাথ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব আজ শুক্রবার সাড়ম্বরে উদযাপিত ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর শাখার সার্বিক পরিচালনায় এবং শ্রীশ্রীসত্যনারায়ণ মন্দির, টুটপাড়া গাছতলা মন্দির ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), খুলনা’র আয়োজনে আজ শনিবার বিকেল  ৪:০০ টায় নগরীর স্যার ইকবাল রোডস্থ গোলকমণি শিশু পার্কে উৎসবমুখর পরিবেশে মহাধুমধামের সাথে রথযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শাস্ত্র মতে তাই মানুষের দেহ হচ্ছে রথ এবং ঈশ্বর হচ্ছেন তার সারথি। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীজগন্নাথকে দর্শন করলে এই জড় জগতের জন্ম মৃত্যুর আবদ্ধতা ও মায়া মমতা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব।

এই বিশ্বাসকে ধারণ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রথযাত্রা উৎসব উদযাপন করে আসছে। রথযাত্রা আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব এবং বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।

প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে আয়োজন করা হয়েছে উৎসবের। এ উৎসবের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে ঐড়িষ্যা বা ঐড়িষ্যা রাজ্যের পুরিতে অবস্থিত জগন্নাথদেবের প্রধান মন্দিরে। এ উৎসব ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশে পালিত হয়ে আসছে।

রথযাত্রা হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের) দেবতা জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার তিনটি সুসজ্জিত মূর্তি রথে চেপে পুরির শ্রীজগন্নাথদেবের মন্দির থেকে মাসির বাড়িতে গুন্ডিচা যাত্রাকে বোঝায়।

পুরীতে এই রথযাত্রা দেখতে সারা পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার গুন্ডিচা মন্দিরে শ্রীজগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি হিসেবে খ্যাত সেখানে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রথযাত্রা শুরু হয়। সাত দিন মাসির বাড়ি থেকে পোঙা পিঠা খেয়ে আবার (নীলাচল)বাড়ির পথে ফিরে আসা যা উল্টো রথ নামে পরিচিত এবং এর মাধ্যমে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

কীভাবে, কবে থেকে, জগন্নাথদেবের রথযাত্রার প্রচলন তা নিয়ে তা জানতে হলে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে মালবদেশ যা বর্তমানে উড়িষ্যা নামে পরিচিত সে রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে। কেননা রথযাত্রার সূচনা হয়েছিলো এই রাজার হাত ধরেই।

পদ্মপুরাণ এর বর্ণনানুযায়ী ও তথ্যমতে এই রাজার হাত ধরেই রথযাত্রার প্রচলন। তখন সত্যযুগ, মালবদেশ এর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন শ্রীবিষ্ণু ভক্ত। তিনি গড়ে তুলেছিলেন জগন্নাথধাম তথা শ্রীক্ষেত্র নামের এক পবিত্র মন্দির।

এই মন্দিরে ছিলো না কোনো বিগ্রহ। একদিন এক সন্যাসীর আগমন ঘটে রাজপ্রাসাদে। রাজার সেবা যতে তুষ্ট হয়ে তাকে বললেন নীলমাধব (ভগবান বিষ্ণুর আরেক রূপ) এর গুপ্তভাবে শবরদের মাধ্যমে পূজিত হবার কথা।

নীল পর্বতের ধারেই ছিলো শবরদের বসবাস। সন্যাসীর কথা শুনে নীলমাধবের দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে গেলেন রাজা। তখন সে ডেকে পাঠালেন তার পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে এবং শবরদের দেশে গিয়ে খুঁজে আনতে বললেন নীলমাধবের মূর্তিকে।

রাজার আদেশ মেনে বিদ্যাপতি গেলেন শবররাজ বিশ্ববসুর নিকট। সেখানে একবার জঙ্গলের মাঝে বিদ্যাপতি পথ ভুলে যায়। তখন তাকে উদ্ধার করেন বিশ্ববসুর কন্যা ললিতা। ঘটনাক্রমে বিদ্যাপতি ললিতার প্রেমে পড়ে গেল।

এরপর রাজা দু’জনের বিয়ে দিয়ে দিলেন। কিন্তু বিদ্যাপতির মাথার মধ্যে তখনো নীলমাধবের দর্শনের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিলো। সে অনেক অনুনয় বিনয়ের মাধ্যমে ললিতাকে রাজি করালো নীলমাধবের দর্শন করানোর জন্য। কিন্তু ললিতার শর্ত ছিলো যে তিনি বিদ্যাপতিকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাবেন। বিদ্যাপতি গেলেন চোখ বেঁধে কিন্তু সাথে করে নিয়ে গেলেন যব এর দানা।

যাবার পথে ললিতার অগোচরে তিনি সেই দানা পথে ফেলতে ফেলতে ফেলেন চিহ্ন হিসেবে। নীল পর্বতে গিয়ে নীলমাধবের দর্শন পেয়ে বিদ্যাপতি ধন্য হলেন। এর পরে তিনি খবর পাঠালেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে। রাজা তার রথ, সৈন্য নিয়ে এলেন নীলমাধবকে নিয়ে যেতে। কিন্তু শ্রীহরির লীলা বোঝা বড় দায়।
রাজা পৌঁছে গিয়ে দেখলেন যে মন্দিরে নীলমাধবের বিগ্রহ নেই। যদিও এ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে কোথায় বলা হয় নীল মাধবে নীজে থেকেই লীন হয়ে যান, আবার কেউ বলে থাকেন যে শবরেরা নীলমাধবের বিগ্রহ লুকিয়ে রেখে দেয়।

এতদূরে এসেও নীলমাধবের দেখা না পেয়ে ইন্দ্রদ্যুম্ন হতাশ হয়ে পড়েন এবং সিদ্ধান্ত নেন এ জীবন সে রাখবে না। ঠিক এই সময় আকাশ থেকে দৈববাণী শোনা যায়-
‘সমুদ্রের জলে ভেসে আসবে দারুব্রহ্ম কাষ্ঠ, সেই কাষ্ঠখণ্ড থেকেই তৈরি হবে বিগ্রহ’ (অর্থাৎ নীলমাধবের বিগ্রহ)।

এরপর রাজা চলে আসলেন তার নিজ রাজ্যে। হঠাৎ এক রাত্রে রাজা স্বপ্নে দেখলেন, ভগবান শ্রীহরি তাকে বলছেন-‘আমি সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তোমার নিকট আসছি। পুরীর বাঙ্কিমুহান নামক স্থানে তুমি আমাকে দারুব্রহ্ম রূপে পাবে।’
রাজা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সেই স্থানে গিয়ে দেখতে পেলেন এক খন্ড কাঠের টুকরো। হাতি সৈন্য এনেও সেই কাঠ নড়ানো গেলো না। তখন শ্রী হরির স্বপ্নাদেশে খবর পাঠানো হলো শবররাজ বিশ্ববসুকে। তিনি আসার পর বিদ্যাপতি, রাজা ও বিশ্ববসু এই তিনজনে মিলে সেই কাঠের টুকরো নিয়ে এলেন রাজার প্রাসাদে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সে কাঠ খোদাই করার মত ক্ষমতা কারোরই ছিলো না ঐ রাজ্যে।

হাতুড়ি বা খোদাই করতে গেলেও তা সম্ভব হলো না। ভেঙ্গে যাচ্ছে বারবার। রাজা আবার চিন্তায় পরে গেলেন। ঠিক তখনি তার কাছে এলেন অনন্ত মহারাণা নামের এক ছুতোর। অনেকের মতে শ্রীহরি নিজেই এসেছিলেন ছুতোর হয়ে আবার মতান্তরে অনেকে বলে থাকেন বিশ্বকর্মা এসেছিলেন ভগবান এর আদেশে।

সে বললো সে এই কাঠ খোদাই করে গড়ে দিবেন নীল মাধবের বিগ্রহ। কিন্তু তার একটি শর্ত হলো ২১ দিনের মধ্যে কেউ এই মন্দিরে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার খোদাই এর কাজ শেষ হয়, রাজা রাজি হয়ে গেলেন।

দরজায় পাহাড়া বসলো। কিন্তু বিপত্তি বাধালো ইন্দ্রদ্যুম্নের রানী গুণ্ডীচা। তার আর অপেক্ষা মানছিলো না, কাজ শেষ হবার আগেই ১৪ দিনের মাথায় তিনি মন্দিরে প্রবেশ করলেন। মন্দিরে ঢুকে তিনি দেখতে পেলেন এক অদ্ভূত দৃশ্য। সেখানে নেই কোন ছুতোর, অসম্পূর্ণ অবস্থায় জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা দেবীর মূর্তি দেখে রানী ভিরমি খেলেন। একি মূর্তি! নীল নবঘন শ্যামল শ্রীবিষ্ণুর এমন গোলাকৃতি নয়ন, হস্ত পদ হীন, কালো মেঘের মতো গাত্র বর্ণ দেখে রানীর মাথা ঘুরতে লাগলো।

রাজা শুনে ছুটে এলেন। রানীর উপরে ক্ষিপ্ত হলেন এবং এও বললেন শর্ত ভঙ্গের কারণে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ছুতোর চলে গেছেন। বিমর্ষ হয়ে পড়লেন রাজা। কিন্তু ভক্তের কষ্ট ভগবান সইবেন কেন।

সে রাত্রেই রাজাকে আবার স্বপ্নে দেখা দিলেন। তাকে বললেন তিনি এই রূপেই পূজিত হবেন। তার নিজস্ব কোনো আকার বা আকৃতি নেই। ভক্তেরা যে রূপ কল্পনা করে তার আরোধনা করেন তিনি তার কাছে ঠিক তেমনই।

তিনি রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন কে বললেন এই অসম্পূর্ণ অবস্থায়ই তিনি পূজা গ্রহণ করবেন এবং তাকে পুরুষোত্তম ধামে স্থাপন করা হয় যেন এবং সেখানেই তিনি পূজা গ্রহণ করবেন। আর এভাবেই প্রতিষ্ঠা হয় জগন্নাথ দেব-এর।

শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকেল ৪টায় নগরীর স্যার ইকবাল রোডস্থ গোলকমণি শিশু পার্কে উৎসবমুখর পরিবেশে মহাসমারোহে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর শাখার সার্বিক পরিচালনায় এবং শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ মন্দির, টুটপাড়া গাছতলা মন্দির ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), খুলনা’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত রথযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি শ্যামল হালদার এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুণ্ডু।

উদ্বোধন শেষে ভক্তবৃন্দ জগন্নাথদেবের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড, শঙ্খ-ঘণ্টা, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নামসংকীর্ত্তন করতে করতে শোভাযাত্রা সহকারে বিভিন্ন মন্দির থেকে আগত শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথের দড়ি টেনে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জোড়াগেটস্থ প্রেমকানন অঙ্গণে প্রবেশ করবে।

রথ চলার পথে পিপাসার্ত ভক্তদের জলছত্রের মাধ্যমে পিপাসা নিবারণ ও প্রেমকানন অঙ্গণে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথ আগামী ১১ জুলাই (১৫ দিনব্যাপী) শুক্রবার পর্যন্ত প্রেমকাননে অবস্থান করবে এবং অবস্থানান্তে উল্টো রথযাত্রার মাধ্যমে রথ স্ব-স্ব মন্দিরে প্রত্যাবর্তন করবে।
অবস্থানকালে প্রতিদিন ঊষাকীর্ত্তন, বাল্যভোগ, মধ্যাহ্নে ভোগরাগ, সন্ধ্যারতি, শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ধর্মীয় আলোচনা, বৈদিক গীতিনাট্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নামকীর্ত্তন ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে। উপস্থিত ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রত্যহ প্রসাদ বিতরণ করা হবে।

এছাড়াও আর্য্য ধর্মসভা মন্দির ও গোপাল সেবাশ্রম সংঘ এর আয়োজনে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রথের টানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরিবার-পরিজনসহ উপস্থিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন খুলনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি প্রকৌশলী সত্যানন্দ দত্ত ও খুলনা সেবাশ্রম সংঘের অধ্যক্ষ স্বামী বিপ্রানন্দজী মহারাজ।

এ সময়ে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন রথযাত্রা আয়োজক কমিটির এস্টেট অব সত্যনারায়ণ মন্দিরের ট্রাস্টি প্রকৌশলী পরিমল দাস, ইসকন গল্লামারী শ্রীশ্রীরাধামাধব মন্দিরের অধ্যক্ষ গৌড়েশ্বর নিমাই দাস ব্রহ্মচারী, নির্মলেন্দু মন্ডল, কেএমপি সহকারী কমিশনার শিহাব করিম, এডিসি (সাউথ) মোঃ হুমায়ুন কবির, সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুদ, জয়দেব আঢ্য, দিলীপ সাহা, রবীন্দ্রনাথ দত্ত, প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র, অরবিন্দ সাহা, অধ্যাপক তারকচাঁদ ঢালী, ব্রজেন ঢালী, বিশ্বজিৎ দে মিঠু, রতন কুমার দেবনাথ, উজ্জ্বল ব্যানার্জী, বাবলু বিশ্বাস, তরুণ রায় শিবু, মহাদেব সাহা, শিবনাথ ভক্ত, প্রফেসর ডাঃ বঙ্গকমল বসু, এড. বীরেন্দ্রনাথ সাহা, এড. বিজন মন্ডল, এড. কমলেশ সানা, এড. স্বপন দাস, তাপস সাহা, প্রদীপ সাহা মদন, অসিত বিশ্বাস, রুপন দে, ভবেশ সাহা, দেবদাস মন্ডল, সঞ্জয় সরকার, সাংবাদিক বিমল সাহা, প্রবীর বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ সাহা, ভোলানাথ দত্ত, কমলেশ সাহা, অভিজিৎ দাস লবী, অলোক দে, বাবু শীল, রবীন দাস, শরৎ কুমার মুন্ধড়া, নিখিল কুমার বিশ্বাস, দীপক দত্ত, সত্যপ্রিয় সোম বলাই, সত্যরঞ্জন পোদ্দার, অশোক কুমার সেন, অনিল কৃষ্ণ মজুমদার, কিংকর সাহা, সুকুমার সাহা, পরিতোষ হালদার, প্রকৌশলী বাবুল দেবনাথ, সুব্রত হালদার, নীলকান্ত দত্ত, অশোক ঘোষ, দুলাল সরকার, নারায়ণ দাস, অজিত হালদার, শান্ত বৈকুণ্ঠ দাস, বৈষ্ণব বলরাম দাস, সুশান্ত ব্যানার্জী, বিশ্বজিৎ সাহা, শক্তিপদ দাস শর্মা, ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু গোপাল, পলাশ সাহা, অম্লান সরদার, নূপুর দাস, সুজিত কুমার মজুমদার, প্রকৌশলী অর্ধেন্দু শেখর দেবনাথ, স্বপন চক্রবর্তী, দীপংকর সাধু, রাজ কুমার হেলা, কুমার লাল, সুশীল দাস, সুব্রত সরকার, মিলন সাহা, বিকাশ কুমার সাহা, প্প্পাু সরকার, বিপ্লব মিত্র, রামচন্দ্র পোদ্দার, রজত কান্তি দাস, দীপক দত্ত, তিলক গোস্বামী, প্রকাশ অধিকারী, সুভাষ দত্ত, দেবাশিস রায়, দেবব্রত মন্ডল দেবু, রঞ্জন রায়, আশিষ কবিরাজ, ডাঃ পরিতোষ রায় চৌধুরী, নিতাই সরদার, এড. সমীর কুমার ঘোষ, শ্যামল মিস্ত্রী, দীপক কণ্ডু, কৃষ্ণ কর্মকার, আনন্দ কুমার পাল, উজ্জ্বল রায়, শশাঙ্ক রায়, পরিমল দাস, সঞ্জয় দাস টুটুল, সঞ্জীব দাস, দিনেশ দাস, রাজু শীল, প্রবীর সাহা, শুভ শর্মা, সিমান্ত সাহা, আকাশ ব্যানার্জী, কার্তিক দাস, দিব্য সাহা, মিমু দাস, মুন্না সরকার, দীপ্ত সাহা, রাজু সাহা, সুমন সাহা, মমি রায় প্রমুখ।

 

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।