মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি || যশোর সদর উপজেলার আরবপুর দিঘীরপাড়া এলাকার একটি মাদ্রাসায় নয় বছরের এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রনিকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গত শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মনোহরগ্রাম থেকে তাকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।রনি ময়মনসিংহ জেলার মনোহরগ্রামের রাশেদ মিয়ার ছেলে।তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি শিশু বলাৎকারের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবা শারমিন তার জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।সিসিটিভিতে ধরা পড়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন দুপুর ১১টার দিকে মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী একটি রুমে থাকা ১৬ জন ছাত্র ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু রনি জেগে ছিল এবং সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায় সে বাইরে থেকে এসে এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়।ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রনিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টাকালে দুই শিক্ষক কৌশলে তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।দুই শিক্ষককেও আটক পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই দুই শিক্ষক—যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে ফয়সাল এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্বঘাট গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে কামাল হোসেনকে পুলিশ আটক করে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রযুক্তির সহায়তায় ধরা
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পায়েল কুণ্ডু জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রনির অবস্থান শনাক্ত করে ত্রিশালের মনোহরগ্রামে অভিযান চালানো হয় এবং সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিশু নির্যাতনের এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।