পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার আর ধর্মীয় ভাব গম্ভীর পরিবেশে কেশবপুরে গত রবিবার (১০ জুলাই) পবিত্র ঈদ-উল আযহা উদযাপিত হয়েছে। বাঙালি সমাজে মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব “কোরবানির ঈদ” নামেও পরিচিত।
মুসল্লিরা ঈদ উল আযহার নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে পশু কোরবানি দিয়েছেন। ঈদুল আযহা ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে বেঁধে যখন জবাই সম্পন্ন করেন, তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই ইব্রাহিম (আ.)-এর ওয়াজিব হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
কেশবপুরের সাবেক এমপি আব্দুল হালিম নামাজ আদায় করেন বড়েঙ্গা নিজ বাড়ির মসজিদে। একই মসজিদে নামাজ পড়েন প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ নূর আল আহসান বাচ্চু। কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা থানা মসজিদে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন। কেশবপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ পড়েন, ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম। কেশবপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং চারণকবি সামসুজ্জামান একই ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। মোনাজাত করিয়েছেন মাওঃ জলিল সাহেবসহ আরও দুজন।
কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের কেদারপুর মাদ্রাসার ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন, বিল্লাল হোসেন (হুজুর)। কেদারপুর ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন, কেদারপুর মসজিদের সভাপতি ডাঃ আব্দুস সাত্তার, সাবেক ইউপি মেম্বর ওয়াহেদ আলী সরদার, সাবেক ইউপি মেম্বর মহাতাপ উদ্দীন, সাবেক ইউপি মেম্বর সাজ্জাত আলী, ইউপি বর্তমান মেম্বর কামরুল ইসলাম, পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল হিরো, কেদারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান, কবির হোসেনসহ শত শত মুসল্লি।
কেশবপুরের বাউশলা বাজার ঈদগা ময়দানে নামাজ পড়েন বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম- আহবায়ক রফিকুল ইসলাম। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন, হাফেজ তাজুল ইসলাম। ভান্ডারখোলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়েন বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক, সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন, মাওলানা শিহাব হুজুর।
পাঁজিয়া ইউনিয়নের পাঁজিয়া ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়েন, ঈদগাহের সভাপতি ও পাঁজিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার পরিচালক কবি বাবর আলী গোলদারসহ মুসল্লীরা। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন, মাওলানা ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম।
মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঈদের নামাজ আদায় করেন, চুয়াডাঙ্গা ঈদ গাহ ময়দানে।
সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান নামাজ আদায় করেন কলাগাছি দ্বিতল ভবন মসজিদে। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন, হাফেজ মওলানা আব্দুর রশিদ।গৌরীঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস,এম হাবিবুর রহমান হাবিব ও মঙ্গলকোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম নামাজ আদায় করেন, ভেরচী দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ ময়দানে এবং ইমামতি করেন মোস্তফা সরদার।
নামাজ ও দোয়া পরিচালনাকালে বিল্লাল হোসেন (হুজুর)বলেন, কোরবানির মূল কথা হল ত্যাগ। সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে দরিদ্র প্রতিবেশীদের মধ্যে এর মাংস বিতরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। রোজার ঈদের মতো ততটা জাকজমকপূর্ণ না হলেও কোরবানীর ঈদে ছিল উৎসবমুখর। ঈদের জামাত শেষে অনুষ্ঠিত বিশেষ মুনাজাতে সমগ্র মুসলিম উম্মাসহ দেশ-জাতির মঙ্গল ও সমৃদ্ধি এবং দেশে-দেশে নিপীড়িত-নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষায় মহান আল্লাহতায়ালার রহমত ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করা হয়। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুকূল আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।