সাগর কুমার বাড়ই , তেরখাদা প্রতিনিধি।।খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ধানখালী আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসকারী সাব্বির ভুইয়া ( ২৫) নামে এক যুবককে অপহরণের পর গুলি করে পঙ্গু করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা চরম আতংকে রয়েছেন।অভিযোগ পত্রে সাব্বিরের পিতা মোঃ শরিফুল ভুইয়া জানান , গত ১৮ জুলাই ২০২৫ সন্ধ্যা ৭টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধানখালী গ্রামের ফিরোজ আহমেদ শেখের ছেলে রাসেল আহমেদ শেখ এবং একই গ্রামের দাউদ মোল্লার ছেলে সাব্বির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক তাঁর ছেলে সাব্বির ভুইয়াকে ধানখালী ব্রিজের ওপর থেকে মুখ চেপে ধরে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
পরে খুলনার কালিবাড়ী ইটের গোলার ভেতরে তাকে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে। রাতের শেষ দিকে অপহরণকারীরা তাঁর বাম পায়ে গুলি করে গুরুতর আহত করে।
তারা সাব্বির কে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায়।
খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে ৩ দিন পর সাব্বিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তাকে বাড়িতে আনা হলেও তাঁর বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে। সাব্বির স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয় , এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে তেরখাদা থানার ওসি জানান , এটি খুলনা সদর থানার মামলা হবে। পরে খুলনা সদর থানায় গেলে কর্তব্যরত ওসি বলেন , এটি তেরখাদা থানার মামলা। এভাবে দুই থানার মধ্যে দোদুল্যমান অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করতে পারছে না।
মো. শরিফুল ভুইয়া জানান , তিনি আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসরত একজন ভ্যান চালক, ছেলে সাব্বির ছিল দোকানের কর্মচারী ।
সামান্য উপার্জনে সংসার চলে। একমাত্র ছেলে সাব্বিরের পা হারানোতে পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় মুখে পড়েছে। তিনি বলেন , “ আমি গরিব মানুষ ” । আইনের আশ্রয় নিতে চাই। কিন্তু দুই থানার হয়রানির কারণে এখনো মামলা করতে পারিনি। তিনি , ছেলের পঙ্গুত্বের বিচার চান।
এ বিষয়ে খুলনার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
তাদের দাবি , দ্রুত মামলা গ্রহণ ও বিচার নিশ্চিত করা হোক।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।