নিজস্ব প্রতিবেদক।। কখনো পুলিশের সোর্স কখনো মাদক ব্যবসায়ি কখনো মাদকের ডিলার কোন কোন সময় সংবাদকর্মী সেজে সাধারন মানুষকে বোকা বানিয়ে চলছেন। তারেক নামের এক প্রতারক ।তার প্রতারনার মাত্রা এতটাই বেশী যে সে নিজেকে সাংবাদিক দাবী করে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাড়া মহল্লা এমনকি অলিগলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে তথা প্রমান ছাড়া যার তার বিরুদ্ধে নিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাপিয়ে চাদা দাবি করে। নাম সর্বস্ব অনলাইন পের্টালের নামে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এই প্রতারেকের ফাদে পরে নিঃস্ব হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে গত কয়েক বছর আগেও চিটাগাংরোড, মাদানীনগর, সাইনবোর্ড, মৌচাক, সানাড়পাড়, মোড়ে মোড়ে বসে থাকতো কোন কাম কামাই ছাড়া। থানা পুলিশের সোর্স, হোস্টেল সোর্স, মাদক বিক্রির সোর্সই ছিল তার একমাত্র পেশা। কিছুদিনপর বিশেষ পেশায় কয়েকজনের সাথে বিশেষ সখ্যতা গড়ে নাম সর্বস্ব সাংবাদিকের কোর্ট ঝুলিয়ে মানুষের সাথে প্রতারনার নতুন ফাদ বেছে নেয়।
শুধু তাই নয় এই প্রতারকের রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তাদের কাজই হলো মানুষকে বোকা বানিয়ে নিঃস্ব করা। তাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড সারোয়ার মৃধা নামে আরেক প্রতারক। এছাড়াও এই বাহিনীর আরেক সক্রিয় সদস্য আবুল শিকদার ওরফে বরিশাইল্লা রুবেল যারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষকে প্রতারনার মাধ্যমে মানুষকে সর্বশেষ করার ধান্দায় থাকে। জানাগেছে মানুষকে প্রতারনার মাধ্যমে মানুষকে নিঃস্ব করার পায়তারা করছে এই তিন প্রতারক। তারেক নিমাইকাসারী এলাকার মাদানীনগর কাঁচাবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। রুবেল শিকদার মৌচাক কমপ্লেক্স বাসায় থাকেন। সারোয়ার মৃধা.
এলাকাবাসীরা জানায় তারেক সারোয়ার ও আবুল হোসেন শিকদার এই তিন প্রতারক পুরো সিদ্ধিরগঞ্জ দাপিয়ে বেরাচ্ছেন। মানুষকে ব্লাক মেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এদের মূল পেশা। মহৎ পেশা সাংবাদিকতার নাম বিক্রি করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও ব্লাক মেইলিং করে আসছে। এদের কথা না শুনলে এরা থানা পুলিশ দিয়ে জেলে দেওয়ার ও হুমকি দেয় এই তিন প্রতারক। এই তিন প্রতারক পুরো সিদ্ধিরগঞ্জকে মাতিয়ে রাখে প্রতারনার মাধ্যমে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না। যারাই কথা চলতে চায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে দেয়। তারপর মোটা অংকের চাদা দিয়ে ফেইসবুক থেকে নিউজটি সরিয়ে ফেলেন। এই চাদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ এর পেশাদার সাংবাদিক সমাজ।
নিমাইকাসারী এলাকার আক্রাম মিয়া নামে এক বাসিন্দা জানান তারেক, সারোয়ার মৃধা, আবুল সিকদার পুরু এলাকার মানুষের মনে আতংক সৃষ্টি করে রেখেছে। মটর সাইকেল দিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এই বাহীনিকে না আটকানো গেলে ওরা সাধারন মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারনা করে নিঃশেষ করে দিবে। ফকির জালাল নামে সিকোটেক্স গার্মেন্টস এলাকার এক বাসিন্দা জানান, সকাল বেলার দিনের শুরুটায় ৩ জন মিটিং করেন, কখন কাকে ধরে ব্ল্যাক মেইলিং করা যায়। লোক পাওয়া মাত্রই হুন্ডা, ক্যামেরা আর মোবাইল নিয়ে হাজির হন। তারপর শুরু হয় টাকা নেওয়ার ধান্দা। এভাবেই মানুষকে জিম্মি করে প্রতারনা করে এই তিন প্রতারক। মৌচাক নিমতলা নামে একটি জায়গায় চা দোকানে বসে কাকে পুলিশ দিয়ে ধরাবে, কাকে নিঃস্ব করবে, সর্ব শান্ত করবে সেই ছক আর্কে তারা। এই প্রতারক বাহীনির কাছ থেকে বাঁচতে চান এলাকাবাসী।
পেশাদার সাংবাদিকরা জানান এসকল অপেশাদার, ব্ল্যাক মেইল করে ওরা কখনোই সাংবাদিক হতে পারেনা। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। দেশের স্বার্থে জনগনের ভাল মন্দের, সুখ দুঃখের সারথী। যারা সাংবাদিকতাকে পুজি করে মানুষকে জিম্মি করে তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।