1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
পাইকগাছায় পতিত জমিতে অফসিজন তরমুজ সাম্মাম চাষে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উদ্যোক্তা বিধান - Khulnar Khobor
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কেশবপুরের এস,এস,জি বরণডালী মাঃ বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ/ঘটতে পারে অঘটন যশোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৬৫ বোতল বিদেশী মদসহ আটক এক সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের দীর্ঘ অভিযান, নিখোঁজ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার। চিতলমারীতে কিস্তির জন্য গৃহবধূর আংটি-বদনা নিয়ে গেলেন এনজিওকর্মী। শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনী জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF) যশোর-নড়াইল মহাসড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত মোটরসাইকেল আরোহী ডুমুরিয়ার দর্শক নন্দিত সামাজিক যাত্রাপালা বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কেশবপুরে শারীরিক শিক্ষা কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুর্যোগ প্রবন কয়রার অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করতে হবে কেশবপুরে খতিব ও উলামা মাশায়েখ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মোংলা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত – ২ কয়রায় কালবেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তারা অল্প সম‌য়ে পাঠকের অন্তরের জায়গা করে নিয়েছে কালবেলা বিএনপি বাংলাদেশে ভেসে আসা দল নয় বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়রায় ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পিকে বিজয়ী করতে কর্মী সভা নওগাঁ মান্দায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বালু জব্দ করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় যশোর শার্শায় গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে তরুণীর মৃত্যু খুলনার খবরের বার্তা প্রধান এফ.এম.আজাদকে অব্যাহতি দিঘলিয়ায় নিজ দোকানের সামনে চাচাতো ভাইদের হামলায় দোকানদার গুরুতর আহত মোল্লাহাটে জামায়াতের কর্মীসভায় ঐক্যের ডাক

পাইকগাছায় পতিত জমিতে অফসিজন তরমুজ সাম্মাম চাষে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উদ্যোক্তা বিধান

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৪৩ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ ফসিয়ার রহমান পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি।। খুলনার পাইকগাছায় ফেলে রাখা ৩৪ একর পতিত জমি। যেখানে ছিল আগাছা,বিষাক্ত সাপ পোকামাকড় আর ইঁদুরের অভয়ারণ্য। দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকা খালের দুই পাড় পরিষ্কার করে গড়ে তুলেছেন আধুনিক কৃষি খামার। যেন এক অপূর্ব সবুজ প্রান্তর। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফল-ফসলের স্বর্গরাজ্য।

এমন অসাধ্যকে সাধন করে এলাকাটি সবুজ শস্যের বেষ্টনী তৈরি করেরছেন বিধান মন্ডল নামে এক অদম্য কৃষি উদ্যোক্তা। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকসহ প্রকৃতি প্রেমিরা আসছন আধুনিক কৃষি খামারটি পরিদর্শনে। দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন খামাটির মধ্যে আর সেই দৃশ্য দেখে অভিভূত আশপাশের এলাকাবাসী।

৮০ দশকে পাইকগাছায় লবণ পানির চিংড়ি চাষ শুরু হয়। অতি মুনাফার জন্য চিংড়ি চাষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত উপজেলাব্যাপী। শুধুমাত্র দ্বীপ বেষ্টিত দেলুটি ইউনিয়নের ২২নং পোল্ডারে ওঠাতে দেওয়া হয়নি লবণ পানি। এখানে নেই কোন চিংড়ি ঘের। এখানকার স্থানীয় মানুষ ধান ও তরমুজ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

কালিনগর-সেনেরবেড় অঞ্চালের বৃষ্টির পানি সরবরাহের অন্যতম একটি খাস খাল ডিহিবুড়া। কয়েক বছর আগে এখালটি সরকার পুনঃখনন করে। এখালের পানি দিয়ে এলাকার মানুষ হাজার হজার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে। খালটা সরকার মাছ চাষের জন্য ইজারা দেন। ইজারা নেন সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। এলাকাবাসী খালটি ইজারার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে দেখা দেয় বিপত্তি। বিধান ১৫ একরের খাল নিজে ২ একর রেখে বাকি ১৩ একর উন্মুক্ত করে দেন। দুই একর খালে চাষ করছেন মিষ্টি পানির গলদা চিংড়ি ও কার্প জাতীয় মাছ। খালের দু’পাড়ে স্তুপ করে রাখা মাটিতে আগাছা ও জঙ্গল পরিষ্কার করে আরও ৩৩ একর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় এনে গড়ে তোলেন আধুনিক কৃষি খামার। এক কথায় সবুজ বিপ্লব।

বিধানের হাত ধরেই আজ সেই খাল পাড়ের জমি থেকে উঠছে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফল-সবজি। যা বাজারজাত হয়ে পৌঁছাবে কোটি টাকার ঘরে।খালের দুপাশে মাচায় ঝুলছে দেশি-বিদেশি ১১ জাতের অফসিজন তরমুজ, ৮ জাতের সামমাম, ৬ জাতের বাঙ্গিসহ মোট ১৭৩ জাতের ফল ও সবজি। সবজি খেতের ভেতর দিয়ে হাঁটলে চোখে পড়ে লাউ, করলা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা রঙের সবজির সমাহার।বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩৫-৪০ জন নারী-পুরুষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে এই খালপাড়ে। ফলে শুধু কৃষিই নয়, সৃষ্টি হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির নতুন কর্মচাঞ্চল্য।

কৃষক বিধান মন্ডলের হিসেবে ৩০ হাজার তরমুজ গাছে প্রতিটি গাছে গড়ে ২-৩টি করে ফল ধরছে। এতে উৎপাদন হবে অন্তত ৬০-৬৫ হাজার তরমুজ। প্রতিটির ওজন আড়াই কেজি থেকে সাড়ে ৮ কেজি পর্যন্ত। বাজারদর কেজিপ্রতি ৪০ টাকা হলে তরমুজ বিক্রি হবে প্রায় ৬০-৬৫ লাখ টাকা।

২৪ হাজার সাম্মাম গাছে প্রতিটি গাছে ৩-৪টি করে ফল ধরছে। প্রতিটি সামমামের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত। বাজারে কেজিপ্রতি ৬০ টাকা হলে সামমাম বিক্রি হবে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির করলা, লাউ, বরবটি ইত্যাদি সাপ্তাহিক ২০০ কেজি হারে বাজারজাত শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে তার খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা।আর প্রত্যাশিত আয় হবে কোটি টাকারও বেশি।

স্থানীয় জমির মালিক কাত্তিক চন্দ্র সরদার বলেন, বিধান মন্ডল খালের দুপাড়ে আমাদের পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কার করে কাজে লাগিয়ে শুধু ফসল ফলাননি, আমাদেরও নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এখন আমরা কৃষিকাজে আগ্রহী হয়ে উঠছি।

শ্রীকান্ত হালদার জানান, আমার বাড়ি পাশের গ্রামে হলেও বিধান বাবুর অভূতপূর্ব ফল ও ফসল উৎপাদন দেখতে এসেছি। আমার মতো প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এ কৃষি প্রজেক্ট দেখতে আসছে। আগামীতে আমরাও আধুনিক কৃষির সাথে সম্পৃক্ত হব।উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুমিত দেবনাথ জানান, বিধান বাবুর অধুনিক কৃষি প্রজেক্টের সকল ধরনের সমস্যা ও সম্ভাবনার পাশে উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় কাজ করছে।

বিধান মন্ডল জানান, তিনি ইউটিউব চ্যানেল ও কৃষি গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থকে উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ করেছেন। সার প্রয়োগে জৈবসার ব্যবহার করেছেন এবং রোগবালাই দমনে ব্যবহার করেছেন বহুজাতিক সিনজেনটা কোম্পানির জৈব বালাইনাশক।আমি চেষ্টা করেছি আধুনিক প্রযুক্তি আর স্থানীয় মানুষের সহায়তায় কিছু করার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে বাজারজাত শেষ হবে। আশা করছি ভালো দাম পাওয়া যাবে।

দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে তবে এই সফলতার মাঝেও বিধান মণ্ডলের একটাই দুশ্চিন্তা- ঝুঁকিপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। তিনি বলেন, ফসল বাজারজাত করতে ভাঙা রাস্তা আর দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আমাকে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই সমস্যা সমাধান করে, তবে আমাদের মতো কৃষকদের স্বপ্ন আরও বড় আকারে বাস্তবায়িত হবে।

এক সময় যে খালপাড় অন্ধকারে ঢাকা ছিল, আজ সেখানে ভোরের রোদে ঝলমল করছে সবুজের সমারোহ। কৃষক বিধান মন্ডলের হাত ধরে পাইকগাছায় যে সবুজ বিপ্লব ঘটছে, তা শুধু কৃষি উৎপাদনই নয়, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.একরামুল হোসেন জানান, দ্বীপ বেষ্টিত দেলুটী ইউনিয়নের কালীনগর এলাকায় বিধান মন্ডল পতিত জমিতে আধুনিক কৃষি প্রজেক্ট তৈরি করেছন। সেখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফল ফসল উৎপাদন করে সাড়া ফেলেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস তার পাশে থেকে কাজ করছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।