খলনার খবর।।খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের ধমকে ভীত হয়ে এক রোগীর স্ত্রী হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে হাসপাতালের ১৯/২০ নম্বর ওয়ার্ডে (চার তলা)।
নিহত নারীর নাম মরিয়ম (৫০)। তিনি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মরিয়মের স্বামী আব্দুস সাত্তার বর্তমানে একই হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগে ভর্তি আছেন। নিহত মরিয়মের বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে জানা গেছে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে জানা যায়, সোমবার রাতে মরিয়ম ও তার আত্মীয়রা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একটি স্যালাইন কিনে ওয়ার্ডে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই স্যালাইন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, “এই স্যালাইন আমি লিখিনি, তোমরা কোথায় পেলে?”
ডাক্তারের এমন আচরণে ভয়ে মরিয়ম প্রচণ্ড মানসিক চাপে পড়েন এবং হঠাৎ কান্নাকাটি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরই তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন ও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়।
স্বজনদের দাবি, ডাক্তারের অতিরিক্ত ধমক ও ভয়েই মরিয়ম হার্টফেল করে মারা গেছেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর খুমেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মধ্যে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের দুর্ব্যবহার ও অহঙ্কারী আচরণের কারণে সাধারণ মানুষ প্রায়ই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
তদন্ত শেষে মরিয়মের মৃত্যুর সঠিক কারণ ও সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব নির্ধারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন মরিয়মের পরিবার।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।