আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট।।মোল্লাহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি শিকারের মহোৎসব চলছে। জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা অতিথি পাখির আগমন হওয়ার পর থেকে শিকারীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে প্রতি বছর অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে, কিছু শিকারী অভিনব কায়দায় পাখি শিকার করতে শুরু করেছে। তাঁরা নতুন নতুন টোপ ও ফাঁদ ব্যবহার করে পাখিগুলোকে আকৃষ্ট করছে। যা পাখি শিকারকে আরও সহজ করে দিচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দা শেখ শাহজাহান বলেন, এভাবে পাখি শিকার করা একদম ঠিক নয়। অতিথি পাখিরা আমাদের দেশের মেহমান, মেহমানের গলায় ছুরি চালান কোন মানুষের কাজ হতে পারে না।
শিকারীদের হাতে একাধিক প্রকারের পাখি যেমন হাস পাখি, দিঘড়িয়া পাখি, কাইনসহ নানা জল পাখির শিকার হতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিথি পাখি শিকার প্রকৃতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি একটি শুচিবাই সমাজকে গড়ে তুলতে বাধা সৃষ্টি করে।এ বিষয়ে মোল্লাহাট উপজেলা বনবিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, তাঁরা বিষয়টি নজরে রেখেছেন এবং শিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করেছেন।
কর্মকর্তারা শিকার বন্ধে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন এবং জানিয়েছেন, নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে শিকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে।এদিকে, মোল্লাহাট প্রেসক্লাব ক্লাব এবং সচেতন নাগরিকরা শিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা পাখি সংরক্ষণ এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
মোল্লাহাট প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দিদার ও সদস্য আরিফুল ইসলাম রিয়াজ এ ধরনের শিকারে নিম্নমানের নৈতিকতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, পাখির এই অবাধ শিকার পরিবেশ, জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।মোল্লাহাটবাসী আশা করছেন, কর্তৃপক্ষ শিকার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং অতিথি পাখিদের রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।