মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি।।যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘উদ্ভাবক’ হিসেবে পরিচিত মিজানুর রহমান (মিজান) নামের এক কয়েদির আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে কারাগারের অভ্যন্তরে একটি কক্ষে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।মিজানুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে। যশোর শার্শা এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে ‘উদ্ভাবক মিজান’ নামে পরিচিত ছিলেন।
পেশায় একজন ওয়ার্কশপ মেকানিক হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্র, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ যানবাহনসহ নানা উদ্ভাবনী যন্ত্র তৈরি করে তিনি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে যেকোনো এক সময়ে উদ্ভাবক মিজান কারাগারের কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে কর্তব্যরত কারারক্ষীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন। তবে ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, মিজানুর রহমান মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে অবস্থান করছিলেন। কৌশলে তিনি কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন এবং সেখানেই এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। স্বজনেরা এলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।কারাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ জুলাই শ্যালক হত্যা মামলায় আদালত উদ্ভাবক মিজানুর রহমানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ২১ বছর আগে যশোরের যশোর বেনাপোলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্স হত্যার ঘটনায় দেওয়া ওই রায়ে তিনি দণ্ডিত হন। নিহত প্রিন্স ছিলেন মিজানুর রহমানের আপন ভগ্নিপতি।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের মামলার রায় কারাবাসজনিত হতাশা থেকেই উদ্ভাবক মিজান এই পথ বেছে নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ তদন্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।