পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি // পাইকগাছায় এফ সিডি আই প্রকল্প ও খাস বন্দোবস্ত জমির মৎস্য লীজ ঘের নিয়ে পক্ষ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দখল পাল্টা দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা নিয়ে উভয়ের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি উপজেলার বায়শারাদ।
জানা যায়, বাইশারাবাদ মৌজায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা এফসিডিআই প্রকল্প গ্রহন করে মঠবাটি গ্রামের তোবারক হোসেন ভুট্টো দীর্ঘ ২০/৩০ বছর ধরে মৎস্য লীজ ঘের পরিচালনা করে আসছে। উক্ত লীজ ঘেরের মধ্যে কয়েকজন ভুমিহীন দের নামে খাস বন্দোবস্ত থাকায় তোবারক হোসেন ভুট্টো তাদের নিকট থেকে ডীড নিয়ে মৎস্য লীজ ঘের চাষ করত। কিন্তু উক্ত খাস জমি নিয়ে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে ঝগড়া বিবাদ হলে ভুট্টোর সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন ২০২২ সালে খাস বন্দোবস্তর মালিকদের নিকট থেকে পুরাইকাটি গ্রামের শাহাজান ডীড নিয়ে উক্ত মৎস্য লীজ ঘের পরিচালনা করে আসছে। এফসিডিআই প্রকল্পের জমি ও খাস বন্দোবস্তের জমি একই ঘেরের মধ্যে থাকায় তোবারক হোসেন ভুট্টো ও শাহাজানের সহিত দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছে।
এ বিষয়ে তোবারক হোসেন ভুট্টো জানান, আমার এফসিডিআই প্রকল্পের জমি, খাস জমি নিয়ে আমার কোন কথা নেই।শাহাজাহানকে আমার জমি বার বার ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও সে আমার জমি জোর করে দখলে রেখেছে। থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে বসাবসি করে সমাধান না হওয়ায় আমি বুধবার সকালে আমার জমি দখল নিয়েছি। শাহাজান বলেন তোবারক হোসেন ভুট্টো আমাকে উক্ত মৎস্য লীজ ঘের পরিচালনা করার জন্য নিয়ে যায়। আমি খাস বন্দোবস্তের মালিকদের নিকট থেকে হারী প্রদান করে ডীড গ্রহণ করে মাছের পোনা ছেড়ে বাধ বন্ধি নির্মাণ পূর্বক লক্ষাধিক টাকা খরচ করে মাছ চাষ করছি।বুধবার আমার পোনা ঘরে হালখাতা ছিল। এই সুযোগে ভুট্টোর নেতৃত্বে মোস্তফা, সহ ৩০/৪০ জন লোক নিয়ে আমার ভরা মৎস্য লীজ ঘের দখল করে নিয়েছে। ঘেরের বাসা দখল সহ আমার কর্মচারী রাজ্জাককে তারা বের করে দিয়ে আমার লাগানো মাছ ধরে নিচ্ছে। যাতে আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ওসি জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, ঘটনা শুনেছি, কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করিনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।