খুলনার খবর // বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দোবাড়িয়া গ্রামে স্ত্রীর সহযোগিতায় এক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণসহ একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামি মহিউদ্দীন হাওলাদারকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা কচুয়া থানায় মহিউদ্দীন হাওলাদার ও তার স্ত্রী সাথী বেগমের নামে মামলা দায়েরের পর উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকা থেকে মহিউদ্দীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় মহিউদ্দীনের স্ত্রী সাথী বেগম এখনও পলাতক রয়েছে।আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহামুদ হাসান জানান, কচুয়া উপজেলার দোবাড়িয়া গ্রামের এক দিনমজুরের কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশি সাথী বেগম। এরপর তার সহযোগিতায় স্বামী মহিউদ্দিন হাওলাদার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারন করে রাখে। পরে ওই ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়া হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে ওই কিশোরীর বাবা লোকলজ্জা ভয়ে কাউকে না জানিয়ে ওই মেয়েকে খুলনায় বড় মেয়ের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
সেখানে থাকা অবস্থায় ওই কিশোরীর ধর্ষণ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে খুলনার একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয় ওই কিশোরীকে। সেখানে একাধিকবার ধর্ষণ করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। পরে ওই কিশোরীর বাবা গত ১৫ আগস্ট সকালে খুলনার রূপসা ভ্যানস্টান্ড এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীরর বাবা রবিবার রাতে কচুয়া থানায় মহিউদ্দীন হাওলাদার ও তার স্ত্রী সাথী বেগমের নামে মামলা দায়ের করেন।
রাতেই পুলিশ উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামী মহিউদ্দীন হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার সকালে গ্রেফতার মহিউদ্দীনকে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অন্য আসামি সাথী বেগমকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।