এস.এম.শামীম,দিঘলিয়া // দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত কোলা বাজার নামক কোলারহাট নিয়ে ইজারাদার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার,কটুবাক্য ও হাটে ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার বিষয় কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে কিছু গণমাধ্যমকর্মী উক্ত বিষয়টি তদারকি করতে গেলে জানা যায়,কোলার হাটটি প্রায় শত বছর ধরে সপ্তাহে ২ দিন শনি ও মঙ্গলবার চলে আসছিল।দিঘলিয়া উপজেলার সর্ব বৃহত্তর এই কোলারহাটটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই বেশ সুনামের সাথে চলে আসছিল।কিন্তু বছরের পর বছর যুগের পর যুগ এই কোলারহাট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলে একপর্যায়ে ২০২২ সালে উপজেলা পরিষদের আওতাধীন হাটটি চলতি বছরে ইজারার আওতায় এলে ডাকের মাধ্যমে উক্ত ইউনিয়ন এর সাবেক এক ইউপি সদস্য বুলু মিয়া ইজারা পায়।
আতাই নদীর তীরবর্তী এবং কয়েক যুগ ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা হাটের সংস্কারকাজ হিসাবে পুরো হাটে প্রায় ৩ ফিটের মত বালু ভরাট ও নতুন করে বেশ কিছু চান্দী তৈরি করা হয়।এবং খোলা আকাশের নিচে থাকা ব্যাবসায়ীদের জন্য নির্ধারিত জায়গাও দেয়া হয় উক্ত জায়গায় ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে সিমেন্টের খুটি ক্রয় করে এবং নিজেদের ব্যবসার জন্য বসার স্থান তৈরি করে।নিচু জায়গায় বালু ভরাট করার জন্য উক্ত কোলার হাটে আগে থেকে বিছিয়ে রাখা ইট তুলে হাটের বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষন রাখা হয়।
কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল হাটের ইজারাদার বুলু মিয়া ও তুলে ফেলা ইটসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা মাধ্যমে অপপ্রচার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য চালিয়ে আসছে বলে জানান হাটের ইজারাদার ও হাট কমিটি।
এবিষয়ে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর ইসলাম ঠান্ডু সাংবাদিকদের জানান,ইজারা দেওয়ার পূর্বে যে প্রতিপক্ষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উক্ত হাটের সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেদের ফায়দা লুটছিল আজকে তাদের স্বার্থে টান পড়েছে তাই বিভিন্ন ভাবে সুন্দর সুস্থভাবে চলা হাটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।যে সমস্ত অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনটাই সঠিক নয়।
এবিষয়ে কোলার হাটের ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান দীর্ঘ চার মাস যাবৎ হাটের চিত্র বদলে গেছে এবং আগের থেকে বর্তমানে ক্রেতা এবং বিক্রেতা অনেক ভালো ভাবে হাটে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে।হাটের ব্যাপারীদের সাথে খুটি ও ঘর তোলার বাবদ টাকা আদান প্রদান এর বিষয় জানতে চাইলে তারা জানান,হাট খাজনা ছাড়া অতিরিক্ত কোন টাকা পয়সা ইজারাদার নেয়নি এবং সিমেন্ট এর খুটি তো আমরা নিজেরা কিনে পুতে রেখেছি।আমাদের পজিশন ঠিক রাখতে।
গাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর ইসলাম ঠান্ডু আরো বলেন,এই কোলার হাট নিয়ে একটি কুচক্রী মহল নানা ধরনের অপ্রীতিকর মন্তব্য করছে।যা আদৌ সত্য নয় এতে করে শুধু কোলার হাট নয় গাজীরহাট ইউনিয়নকে
কুলুষিত করার চেষ্টা করছে বলে তিব্রনিন্দা জানাই।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।