তারিকুজ্জামান আশাশুনি প্রতিনিধি// কারিতাস খুলনা অঞ্চলের আওতায় সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের মাধ্যমে জনগোষ্ঠির সক্ষমতা বৃদ্ধি করণ (আইডিআরআর) প্রকল্পের মাধ্যমে কারিতাস জার্মানীর আর্থিক সহায়তায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে ৯ টি ওয়ার্ডের প্রতি ওয়ার্ডে ১ টি করে মোট ৯ টি প্রদর্শনী প্লট ও প্রতিটি ওয়ার্ডে মোট ২০ টি পরিবার মোট ১৮০ টি পরিবারের মাঝে ৫৮৯৫ টি লবণ সহনশীল ফলজ ও বনজ (কাঠের) গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ ঢালীর সভাপতিত্বে উক্ত গাছের চারা বিতরণ ও উপকারভোগীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাজিবুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, আশাশুনি উপজেলা, পবিত্র কুমার মন্ডল, প্রকল্প সমন্বয়কারী আইডিআরআর প্রকল্প, কারিতাস খুলনা অঞ্চল, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেঘরাণ, ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, স্থানীয় সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া প্রতিনিধি, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠি, প্রকল্পের মাঠকর্মকর্তা আলোইশিয়াস গাইন, মামুন সিরাজুম মনির-মনিটরিং অফিসার সহ প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ।
পবিত্র কুমার মণ্ডল বলেন, পরিবার পর্যায়ে দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। প্রতাপনগর ইউনিয়নটি একটি দুর্যোগ কবলিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখানে নদীভাঙ্গন ও জলাবদ্ধাতার গাছ পালা মারা গিয়ে পরিবেশের বিপুল ক্ষতি সাধন করেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য এবং প্রতাপনগর ইউনিয়নটিকে আগের অবস্থায় আবারো সবুজে ভরে তুলতে অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকের উচিত বাড়িতে একটি করে হলেও গাছ লাগানো। তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন রক্ষা পাবে তেমনি পরিবার ও সমাজ পর্যায়ে দুর্যোগের ঝুঁকিও কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে মো রাজিবুল হাসান কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আশাশুনি উপজেলার মধ্যে প্রতাপনগর ইউনিয়ন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্যোগ কবলিত ইউনিয়ন। এখানকার মানুষ প্রায় প্রতি বছর কোনও না কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। বিগত আফানের প্রভাবে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যার প্রভাব এখনো দেখা যায়। একসময় প্রতাপনগর ইউনিয়নে প্রচুর ধান হতো কিন্তু সেই প্রতাপনগর আজ মরুভূমি। কারিতাস বাংলাদেশ প্রতিটি পরিবারে যে গাছের চারা বিতরণ করছে তা এই এলাকার জন্য বহুল প্রত্যাশিত। তাই উচিত গাছের সঠিক পরিচর্যা ও রক্ষনাবেক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশের সুর এবং দুর্যোগের ক্ষতি কমিয়ে আনতে সহায়তা করা।
সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলহাজ মো: আবু দাউদ ঢালী বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়নটি বিগত আফান ঝড়ের পরে দীর্ঘ দুই বছর লবণ পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে ইউনিয়নের গাছপালা মরে গিয়ে পরিবেশের অনেক ক্ষতি করেছে। ইউনিয়নটি বর্তমানে গাছপালা হীন হয়ে রয়েছে। আমাদের যেমন টেকসই বেড়িবাধ দরকার তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক গাছ লাগানোর দরকার। কারিতাস এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে গাছ বিতরণ করছেন তা সত্যিই আমাদের জন্য পরম সৌভাগ্যের, তবে এই গাছ নিয়ে শুধু মাত্র লাগালেই হবে না এর সঠিক পরিচর্যা করে একে বাঁচিয়ে তুলতে হবে। যাতে করে আপনারটি দেখে। অন্যেরা অনুকরণ করে গাছ লাগায় তবেই এই প্রতাপনগর ইউনিয়নটি আবারো সবুজে ভরে উঠবে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অব্যহত দুর্যোগের ক্ষতি কমাতে কারিতাসের এমন মতি উদ্দ্যোগ গ্রহণ করায় আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপন করে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।