1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
রামপাল উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মান্দায় মঠ গাড়ি আদর্শ কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ নতুন সভাপতির বাগেরহাটে ৫’শত গ্রাম গাঁজা’সহ এক মাদক কারবারি আটক কয়রায় খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, ব্যবস্থা নেয়নি ইউএনও চুকনগর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে ফেবারিট চুকনগর বণিক সমিতির পরিচালক কয়রায় প্রতারণা করে বৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন তেরখাদায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইন্টার ইউনিভার্সিটি ড্যান্স : সিজন -৬ দ্রুত নির্বাচনই দেশের জন্য মঙ্গলজনক- মির্জা ফখরুল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষক গ্রেপ্তার কবরস্থান পরিষ্কার করে প্রশংসায় ভাসছে একদল যুবক নগরীর সকল থানার আহবায়ক কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে যুব অধিকারের সংবর্ধনা মুনসুর স্মৃতি সংসদ আয়োজিত টুর্নামেন্টে আলমগীর স্মৃতি পরিষদ ফাইনালে মোরেলগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গণসমাবেশ নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস বোস কারাগারে শার্শায় বিএনপির বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত শার্শায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের মত বিনিময় ও আলোচনা লক্ষ্মীপুরে সাব রেজিস্ট্রার ঝাড়ুদার কাম-নৈশ প্রহরী সোহেলকে সাময়িক বরখাস্ত কেশবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআন ধরানো ও কমিটির পরিচিতি সভা খুলনায় সৌন্দর্যবর্ধনের নামে রাস্তা সংকুচিত, প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

নড়াইলের মধুমতী নদীতে ৬ লেনের সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে, জুনে চালুর আশা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৪৬৯ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন, লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা ঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতী নদীর কালনা পয়েন্টে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। দৃষ্টিনন্দন এ সেতু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। পদ্মা সেতুর সঙ্গে চালু করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে এ সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ। এ সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা ও পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা।

এ সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কমপক্ষে ১০ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এখানে সেতুর দাবিতে বহু আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর নড়াইলে সুলতান মঞ্চে নির্বাচনী জনসভায় এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ সেতু নির্মিত হচ্ছে।

জাপানের টেককেন কর্পোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে। সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সওজ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সেতুর সার্বিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৬৫ শতাংশ। সংযোগ সড়কের কাজও শেষের পথে। মূল সেতুর দুটি স্প্যান বসানোর কাজ বাকি আছে। এ স্প্যান দুটি বসানো হলে সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে।

সওজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ৩০ জুন থেকে এ সেতুতে গাড়ি চালানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। কারণ, জুনেই পদ্মা সেতু চালু হবে। এ সেতুর কাজে দীর্ঘদিন ধরে উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন সওজের প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চার লেনের। আর মধুমতীর সেতু দেশের প্রথম ছয় লেনের। এটি দেশের সবচেয়ে বড় নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু। পদ্মা সেতুর পাইল ক্যাপ পানির ওপর পর্যন্ত। কিন্তু এ সেতুর পাইল ক্যাপ পানির নিচের মাটির ভেতরে। তাই নৌযান চলাচল সমস্যা হবে না, পলি জমবে না।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর পূর্ব পাড়ের সংযোগ সড়কের কার্পেটিং শুরু হয়েছে এবং পশ্চিম পাড়ে পাথর-বালুর ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সংযোগ সড়কের ১৩টি কালভার্টের মধ্যে ১২টির কাজ শেষ হয়েছে। আটটি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। কাশিয়ানী পাশে ডিজিটাল টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ চলছে। সেতুর মাঝখানে বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার দীর্ঘ নেলসন লোস আর্চ টাইপের স্টিলের স্প্যান। স্প্যানটি তৈরি হয়েছে ভিয়েতনামে। ওই স্প্যানের উভয় পাশের অন্য স্প্যানগুলো পিসি গার্ডারের (কংক্রিট)। মোট ১৩টি স্প্যানের মধ্যে পিসি গার্ডারের দুটি স্প্যানের কাজ বাকি আছে। প্রল্পের কর্মকর্তারা জানান, এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুত গতির এবং দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার। উভয় পাশে সংযোগ সড়ক হবে ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার, যার প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৯৫৯ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ২৪ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যাদেশ চুক্তি হয়। ওই সালের ৫ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তখন থেকে ৩৬ মাস ছিল মেয়াদকাল।

সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, প্রথমে সেতুর নকশা ছিল চার লেনের, পরে তা করা হয়েছে ছয় লেনের। সংযোগ সড়কের ভূমি অধিগ্রহণে দেরি হয়েছে। করোনার জন্য প্রায় ছয় মাস সেতুর কাজ বন্ধ ছিল। এসব কারণে নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ হয়নি। মূল প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সওজ ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ সেতু চালু হলে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থলবন্দর ও খুলনা থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী পরিবহন মাগুরা-ফরিদপুর হয়ে যাতায়াতের পরিবর্তে কালনা হয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এতে বেনাপোল ও যশোর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১১৩ কিলোমিটার, খুলনা-ঢাকার দূরত্ব ১২১ কিলোমিটার এবং নড়াইল-ঢাকার দূরত্ব ১৮১ কিলোমিটার কমবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, পদ্মা সেতু ও কালনা সেতু চালু হলে কালনা থেকে যশোর পর্যন্ত সড়কে পরিবহনের চাপ বাড়বে। এতে পুরোনো কম প্রশস্ত সড়কে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। সওজ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সড়কের আপাতত চাপ সামলাতে কালনা থেকে যশোর পর্যন্ত বর্তমান সড়কটি আরও ছয় ফুট পিচঢালাই করে চওড়া করা হবে। এক মাসের মধ্যে এর টেন্ডার হবে। এক বছরের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।