আল-হুদা মালী স্টাফ রিপোর্টার// শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে ৯নং সোরা দৃষ্টিনন্দন সংলগ্ন গ্রামে বনবিভাগের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুন্দরবনে চোরাশিকার বন্ধ বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ, দস্যুতারোধ ও অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ শিকার বন্ধে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বনবিভাগ।এতে অপরাধ প্রবনতা কমবে বলে মনে করছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় এই আলোচনা সভা করেন। বনবিভাগের কমিউনিটি পেট্রল গ্রুপ (সিপিজি) এ কাজ বাস্তবায়ন করবে।
উঠান বৈঠাকের সভাপতিত্ব করেন, সিপিজি সদস্য শাহানুর আলম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কলাগাছি টহল ফাঁড়ির স্টাফ কিবরিয়া ও জাহিদ হোসেন। সিপিজি সদস্য আমিনুর, জিন্নাত গাজি, মহিলা সদস্য জয়নাব বেগম, ছামাদ শেখসহ উপকূলীয় প্রেজক্লাবের সংবাদ কর্মীবৃন্দ প্রমূখ।
সাহানুর আলম বলেন, সুন্দরবনের এলাকা অভয়ারন্য ঘোষনা করায় মৎসজীবীরা ওইসব এলাকায় গোপনে মাছ ধরে থাকে। এতে মাছের প্রজননে সমস্যা হয়। এসব সমস্যা মোকাবেলায় মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। যার কারণে বনবিভাগ জেলে বাওয়ালীদের সচেতন করতে তাদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভার মত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জয়নাব বলেন, বনবিভাগ এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।তারা এলাকায় এসে মানুষকে বোঝাচ্ছে। সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য সিপিজি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বুড়িগােরয়ালিনী, স্টেশন রেঞ্জের কলাগাছি টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা কিবরিয়া বলেন। প্রতি মাসে ন্যুনতম তিনটি উঠান বৈঠকের আয়োজন করেছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় দস্যুতা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও হরিন ও বাঘসহ বণ্যপ্রাণী শিকারের মত কর্মকান্ডের সাথে স্থানীয় মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবনে এখন বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের পরিমান বেশি। তাই মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। মানুষ যদি মনে করে সুন্দরবন আমাদের সম্পদ তাহলে আর ক্ষতি করতে চাইবে না।বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের নিয়ে টিম করা হয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।