পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // কেশবপুরের মঙ্গলকোট ও বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের ৮টি মন্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতায় আজ শণিবার থেকে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও মঙ্গলকোট ইউপি সাবেক সদস্য বিশ্বনাথ হালদার এবং সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ কুমার হালদার জানান, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৪ টি স্থানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলকোট বাজার সার্বজনীন দুর্গা পূজা মন্দির, মঙ্গলকোট চৌধুরীবাড়ী পূজা মন্দির, পাথরা সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, কন্দর্ণপুর সার্বজনীন পূজামন্দিরে শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলকোট চৌধূরী বাড়ী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরের ভাস্কর কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, শুক্রবারের মধ্যে সকল মন্দিরের প্রতিমার রং তুলির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
সরেজমিন দেখা যায়,সকল প্রতিমায় রং তুলির কাজ শেষের পথে। মঙ্গলকোট বাজার সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি ডাঃ তৃপ্তি রায় জানান,শণিবার শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গা দেবীর ষষ্ঠাদিকল্পারম্ভ, সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। রোববার দেবীর নব পত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্তা। সোমবার মহাষ্টমী বিহিত পূজা প্রশস্তা। মঙ্গলবার মহানবমী বিহিত পূজা সমাপনা। বুধবার শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গা দেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন, দর্পন বিসর্জনান্তে যাত্রামঙ্গল পাঠ ও শান্তিজল প্রদান ।
অন্যদিকে পার্শবর্তী বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ৪ টি স্থানে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও কেশবপুর উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি নন্দ দুলাল বসু জানান, বিদ্যানন্দকাটি-মঙ্গলকোট সার্বজনীন পূজা মন্দির, ঘোষপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরসহ চারটি শারদীয়া দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ মতে অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে এই সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এবার পূজা মন্দির গুলোতে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করার তাগিদ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে এখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।শারদীয় উৎসবে এবার দেবী দুর্গার আগমন ঘটছে গজে বা হাতির পিঠে চেপে। হাতির পিঠে চেপে আসলে শস্য ভালো হয়। আর দেবী ফিরে যাবেন নৌকায়। এ সময় প্লাবন বা অতিবৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। বলে জানিয়েছেন পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তী।
গতকাল শুক্রবার সকালে কেশবপুরের মঙ্গলকোট চৌধূরী বাড়ী পূজা মন্দির যেয়ে দেখা গেল ভাষ্কর কার্তিক পাল তার দুই সহকর্মী জয়দেব পাল ও তমাল পালকে নিয়ে দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলার ৫ টি মন্দিরে প্রতিমা গড়ার কাজ ধরেছেন।সুষ্ঠু সুন্দরভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে বলে তারা সকলেই বলেন। মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আনছার ভিডিপি কমান্ডার আলতাফ হোসেন জানান, এখানে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।