প্রনয় দাস,অভয়নগর প্রতিনিধি // “এইতো জীবন হিংসা বিবাদ লোভ বিদ্যেস চিতাতেই সব শেষ”যেখানে শেষ গন্তব্য চিতা সেখানেই প্রবেশের রাস্তা ও চিতা ভুমির অবস্থা যদি কর্দমময় ও বেহাল অবস্থা হয় তাহলে কেমন হয়।
অভয়নগরের বাগুটিয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া শ্বশানটি ভাটপাড়া মহাশ্বশান নামে খ্যাত। অভয়নগরের বাগুটিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃত শবদাহ দাহনের একমাত্র শ্বশানই এই ভাটপাড়া মহাশ্বশান। কিন্তু এখানে দাহনকার্য করতে আসা শ্বশান যাত্রীদের দুঃখকষ্টের সীমা থাকে না। শ্বশানে প্রবেশের রাস্তা ও শ্বশান ভুমি নিচু থাকায় নদীর জোয়ারের জলে সবসময় প্লাবিত থাকে এবং জোয়ারের জল নেমে গেলে কাদায় ভরা থাকে সর্বত্র।
ফলে মৃতদেহ সৎকার করতে ভিষণ অসুবিধায় পড়তে হয়। এ বিষয় নিয়ে শ্বশান কতৃপক্ষের কাছে অনেকবারই বলা হয়েছে কিন্তু তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এখানকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যুব সমাজ তাদের নিজেদের উদ্দোগে এই ভাটপাড়া মহাশ্বশানের চিতা ভুমি সহ সামনের নিচু যায়গা বালু দিয়ে ভরাট করে উঁচু করার উদ্যোগ নেয় বেশ কয়েকবার। কিন্তু শ্বশান কতৃপক্ষ তাদের সে কর্মেও বাধার সৃষ্টি করে।
এবিষয়ে শ্বশান কতৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো জবাব না দিয়ে এড়িয়ে চলে যায়।শ্বশানে আসা সাধারণ মানুষের কাছে জানা যায় এই শ্বশানে অনেকবারই সরকারি অনুদান এসেছে কিন্তু এসব অনুদানে শ্বশানের কোনো কাজ হয় নি এবং এর কোনো হোদিস কেউ জানেনা।
এখন এলাকাবাসী সহ শ্বশানে শবদাহ সৎকার্য করতে আসা সাধারণ মানুষের প্রানের দাবী এখানকার মাননীয় এমপি মহদয় ও উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দের নিকট, তারা যেন এখানে সরজমিনে এসে দেখে এই ভাটপাড়া মহাশ্বশানটি উন্নয়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেন।
এতে উক্ত ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষ কিছুটা সস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।