শার্শা/যশোর প্রতিনিধি // আসছে ২৪ নভেম্বর ২০২২ যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জনসভাটি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজন করা হলেও এটি বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের আওয়ামী লীগের জনসভা বলে দলটির নেতারা দাবি করেছেন।গতকাল সোমবার বিকেলে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে দলটির এক জনাকীর্ণ বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তৃতাকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির সঞ্চালনায় বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি,এস এম কামাল হোসেন,শেখ তন্ময় এমপি।

এ সময় অন্যন্য নেতৃবৃন্দর মধ্যে বক্তব্য রাখেন,যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য,যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল,মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরেণ শিকদার,ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার,যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ,যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন,যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়,যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।

বর্ধিতসভায় বক্তারা বলেন,করোনা সংক্রমণের বিধি নিষেধের কারণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মসূচিসহ সব ধরনের সভা সমাবেশ বন্ধ ছিলো। যে কারণে আমাদের নেত্রী প্রকাশ্যে জন সম্মুখে বড় জমায়েতে উপস্থিত হতে পারেননি। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন সারাদেশে সোচ্চার হচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রথম জনসভায় যশোরে উপস্থিত হবেন। এজন্য এ জনসভা স্মরণীয় করে রাখতে স্মরণকালের বৃহত্তম উপস্থিতিরি মাধ্যমে বিএনপিকে জানান দিতে হবে আগামীতেও তাদের পরাজয় নিশ্চিত। বর্ধিতসভা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে নেতা কর্মীদের মাঝে গণজাগরণ সৃষ্টি করার জন্য জনসভা সফলে সভা সমাবেশ করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ। জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এ বিশেষ বর্ধিতসভার আয়োজন করা হলেও সভাটি মূলত কর্মীসভায় রূপ নেয়। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ যশোর জেলার সকল থানা এলাকার নেতা ও এমপিদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সেখানে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিলো বেশি।