খুলনার খবর // ‘বিষাদ সিন্ধুর’ রচয়িতা কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৫ তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৩ নভেম্বর)। প্রতিবছর তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটায় দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের আয়োজনে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রোববার (১৩ নভেম্বর) ও সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন কুমারখালীর লাহিনীপাড়া গ্রামে ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এলাকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। তার মায়ের নাম দৌলতুন্নেসা। মীর মশাররফ জগনমোহন নন্দীর পাঠশালায় পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি কুমারখালীর এমএন হাইস্কুল, কুষ্টিয়া হাইস্কুল ও রাজবাড়ী জেলার পদমদী হাইস্কুলে কিছুদিন পড়াশুনা করেন।
মায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই তিনি উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক প্রায় ৩৫টি বই রচনা করে গেছেন তিনি। এরমধ্যে রত্নাবতী, গৌরী সেতু, বসন্তকুমারী, নাটক জমিদার দর্পণ, সঙ্গীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদীনার গৌরব, বিষাদসিন্ধু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মীর মশাররফ হোসেনের ‘আমার জীবনী গ্রন্থ’ থেকে জানা যায়, কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। হরিনাথ মজুমদারের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ ও ইশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘সংবাদ প্রভাকর’ নামক পত্রিকা দুটিতে মশাররফ হোসেনের সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।
তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পদমদীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।পদমদীর নবাব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।