সর্দার বাদশা,স্টাফ রিপোর্টার // খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার, অধিকাংশ ক্লিনিকে নেই অপারেশন করার সরকারি কোনো ছাড়পত্র/অনুমোদন, নেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স, থাকে না জরুরি প্রয়োজনে পার্মানেন্ট ডাক্তার, রক্ত দেওয়া নেওয়ায় লাগে না তাদের ক্রোস ম্যাসিং । অনেক সময় অপারেশন করতে লাগে না তাদের পরিক্ষা- নিরিক্ষা। তারপরও চলছে হর হামেসায় অপারেশনের কাজ, চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা , বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ক্লিনিক ব্যবসা যেন দেখার কেউ নেই, রোগীরা হচ্ছে ভোগান্তির শিকার, তাহারি ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক ডুমুরিয়া মাগুরাঘোনা রাবেয়া ক্লিনিকে রোগীকে ভুল অপারেশন করায় থানায় অভিযোগ দায়ের পর ভুক্তভোগীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে আসছে ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার হাসান।
এমনই অভিযোগ করেছেন ডুমুরিয়া উপজেলার হুগলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহিম শেখের পুত্র মোঃ শামীম শেখ ,তিনি ও তার পরিবারের লোকজন জানান তার পিতা মোঃ আব্দুর রহিম শেখের পেটের যন্ত্রণা দেখা দিলে রাবেয়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাঁর পেটে টিউমার রয়েছে বলে জানান ও দ্রুত অপারেশন না করলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার হাসান, সেখানে ভর্তি করা হয় ১৮ হাজার টাকার চুক্তিতে তার পেটে অপারেশন করিয়ে সুস্থ করার জন্য, অপারেশন করার পরে রোগী সুস্থ্য না হয়ে দিন দিন আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। শামীম ডাক্তার হাসানের কাছে জানতে চায়লে ডাক্তার হাসান শামীম কে একান্ত ভাবে ডেকে নিয়ে পরিক্ষা ছাড়াই বলে তোমার বাবার ক্যানসার হয়েছে। এসব শুনে গত ৮/১০/২২ তারিখ রাবেয়া ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে খুলনা তৃপ্তি ক্লিনিকে ভর্তি করে ,তখন তৃপ্তি ক্লিনিকের ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা মাধ্যমে জানান রোগীকে ভুল অপারেশন করা হয়েছে, আবার দ্রুত অপারেশন করতে হবে তা না হলে রোগী মারা যেতে পারে। তখন রোগীকে বাঁচানোর জন্য ৬৫ হাজার টাকা চুক্তিতে পুনরায় অপারেশন করতে হয় , এখন পর্যন্ত বিভিন্ন খরচ বাবদ দুই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে। শামীম শেখ ও তার পরিবার আরো জানান ভুল অপারেশনের কারণে আমার সহায় সম্বল বিক্রি করে আমার পিতাকে তৃপ্তি ক্লিনিকে পুনরায় অপারেশন করার খরচ হওয়া টাকা চাইতে যাই রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক ডুমুরিয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী কর্মকর্তা ডাঃ হাসানের কাছে তখন তিনি আমাকে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এই বিষয়ে রাবেয়া ক্লিনিকে মালিক ডাক্তার হাসানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান ডুমুরিয়া উপজেলার হুগলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহিম আমার প্রতিবেশী আমাদের একই গ্রামে বাড়ি ,তিনি আমার ক্লিনিকে অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়েছিল আমরা তাকে অপারেশন করিয়েছি তাকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়েছি ,এর পরের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, তার কাছে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কনি মিয়া আমার এখানে ডুমুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এসেছিল তার মেয়েকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ,তিনি বলেছেন আমি বললে শামীমকে মিথ্যা মামলা দিয়ে উঠিয়ে আনা হবে , কিন্তু আমি তা করতে নিষেধ করি ,তারা আমার ও আমার ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানান ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কনি মিয়ার কাছে মিথ্যা মামলা দিয়ে উঠিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়টি মিথ্যা ভিত্তিহীন বলে জানান , তিনি বলেন ভুল অপারেশন করার বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে আব্দুর রহিম শেখের পুত্র শামীম শেখ ,আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব,ডুমুরিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রুস্তমের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কথা বলতে অপরগতা প্রকাশ করেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।