1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
কয়রায় সারের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ নেই প্রশাসনে মনিটরিং - Khulnar Khobor
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
যশোরে চোরাই ইজিবাইক নিয়ে দ্বন্দ্ব নারী ছুরিকাহত গ্রামপুলিশকে গণধোলাই কেশবপুরে ভাইপোর বিরুদ্ধে চাচার সংবাদ সম্মেলন মোংলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ডুমুরিয়ায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন, প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শার্শায় খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে আলোচনা ও দোয়া আনুষ্ঠিত যশোরে অবৈধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগে দুটি দোকানে অভিযান বিশ্ব এইডস দিবস যশোরে সচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত খুলনার সমাবেশ মঞ্চে জামায়াতের আমির ও চরমোনাই পীর   মোল্লাহাটে অভিনব কায়দায় চলছে অতিথি পাখি শিকার। ৭৪ বছর পূর্ণ করে ৭৫ বছরে পদার্পণ করলো মোংলা বন্দর ১ নং জলমা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এ ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ। দিঘলিয়ায় জাতীয় পার্টি সভাপতি অ্যাড. লুৎফর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নে ফ্রি ভেটেরিনারী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন  যশোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গাঁজাসহ যুবক আটক কেশবপুর উপজেলার ব্যবসায়ী মশিয়ার রহমান-এর দাফন সম্পন্ন খুলনার আদালত চত্বরের প্রধান ফটকের সামনে গু-লি ও কু-পি-য়ে দুই যুবক কে হ/ত্যা /করেছে দু”র্বৃ”ত্ত”রা। দিঘলিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা। পাইকগাছায় ওয়াশ বাজেটিং বিষয়ে সিএসও/সিবিওদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত ফার্মাসিস্ট-মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি অচল যশোর সদর হাসপাতাল

কয়রায় সারের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ নেই প্রশাসনে মনিটরিং

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪০১ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ ফয়সাল হোসেন কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি।। চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে খুলনার কয়রায় ডিলার, সাব-ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার বেশি দামে বিক্রিয়সহ নির্দিষ্ট স্থানে সার বিক্রি না করে বেশি দামে অন্য স্থানে কৃষকের পরিবর্তে ঘের মালিকদের কাছে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে । নেই প্রশাসনের মনিটরিং।

সরকারিভাবে ৫০ কেজি টিএসপি সারের দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়। ডিএপি সারের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা বা তারও বেশি দামে। আর এমওপি সারের দাম ১ হাজার টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকায়।বিক্রয় মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে টানানোর কথা থাকলেও তা টানানো হয়নি কেউ কেউ তালিকা আড়ালে টানিয়ে রেখেছেন।

তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সার ডিলাররা বলছেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম বেশি বা এলাকার বাইরে কৃষকের পরিবর্তে ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে সার বিক্রয় তারা করছেন না৷ কিন্তু কৃষকদের নিকট সার বিক্রি করা রেজিস্ট্রার খাতা দেখতে চাইলে অনেক ডিলার তা দেখাতে পারেননি৷

কৃষকদের অভিযোগ,কৃষকদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নিলেও বেশিরভাগ ডিলার কোনো রসিদ দিচ্ছেন না। কেউ কেউ দিলেও তাতে সরকার নির্ধারিত দামই দেখানো হচ্ছে। সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সংকটের কথা বললেও, বেশি দাম দিলেই সার মিলছে। অনেক ডিলার আবার দোকানের সরকারি মূল্য তালিকা ঢেকে রাখছেন।কোন কোন দোকানে মূল্য তালিকাই নেই। ধানক্ষেতে প্রয়োগের জন্য আগে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটাশ ৩০, ২১ টাকার ডিএপি ২৬ ও ইউরিয়া সার ২৭ টাকার স্থলে কিনেছেন ২৯ টাকা কেজি। অনেকে চড়া দামে ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে বস্তা বস্তা সার বিক্রয় করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ। উপায় না থাকায় তারা বেশি দামে ইউরিয়া, টিএসপিসহ অন্যান্য সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।৷ প্রতি কেজিতে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩-৬ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপজেলার সাত ইউনিয়নে বিসিআইসি সারের ডিলার রয়েছেন ৭ জন, বিএডিসির ডিলার রয়েছেন ১৪ জন ও সাব লিডার রয়েছেন ৬৪ জন। উপজেলায় এ বছর আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। সব মিলিয়ে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে উপজেলায় ইউরিয়া, টিএসপিসহ অন্যান্য সারের চাহিদা প্রায় ১৭ হাজার টন। চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ রয়েছে, ঘাটতি নেই। ইউরিয়া ও টিএসপি ২৭, পটাশ ২০ ও ডিএপি ২১ টাকা কেজি সরকার নির্ধারিত দাম।

উপজেলার বাগালি ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস সোবহান ও মতিন সানা বলেন, ধান চাষ করতে আমাদের ফসফেট সার খুবই প্রয়োজন। কিন্তু সারের দোকানদার ঠিকমতো এই সার দিচ্ছে না। আবার দিলেও সাড়ে ১৩০০ টাকার ফসফেট সারের দাম নিচ্ছে ১৬০০- ১৯০০ টাকা করে। তারপরও তারা অনেক রাগ দেখায়। বলে নিলে নেও, না নিলে চলে যাও। এভাবে যদি আমাদের ঠকানো হয়, তাহলে চলবো কী করে? সরকার কি এদের কোন ব্যবস্থা নিবে না।

উপজেলার মসজিদকুড় গ্রামের কৃষক সালাম সানা, করিম গাজি, বরকত উল্লাহসহ একাধিক কৃষক বলেন, সরকার সারের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে সেই মূল্যে আমরা সার পাচ্ছি না। সাড়ে ১৩০০ টাকার ফসফেট সার আমরা কিনছি ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা বস্তা। সার ব্যবসায়ীরা আমাদের চিপাবাঁশের ফাঁটায় আটকে রাখছে। তাদের ইচ্ছায় আমাদের চলতে হচ্ছে।

উপজেলার উত্তর বেদকাশি গ্রামের কৃষক
বলেন, “আমি এবার ১৫ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। সার পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে, এটা ডিলার ও ব্যবসায়ীদের একটা সিন্ডিকেট। ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে, কিন্তু তাদের দোসররা এইটা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৩৫০ টাকার ফসফেট সার মেইন ডিলাররা সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে সাড়ে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত দাম ধরছে। তাহলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা কি দামে বিক্রি করবে? তিনি আরো বলেন, “১০৫০ টাকার এক বস্তা ডেপ সার ধরছে ১৫৫০ টাকা, ১০০০ টাকার পটাস ১৩০০ টাকা। এটা কি মগের মুল্লুক? প্রশাসনের মনিটরিং দরকার।

সার ডিলার সেসার্স পলাশ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক পলাশ চন্দ্র অধিকারী বলেন, “আমাদের ডিলার পয়েন্ট থেকে দাম কখনও বেশি নেওয়া হয় না। কেউ কেউ দুই এক বস্তা আমাদের নিকট থেকে সার ক্রয় করে লাভের আশায় কৃষকদের নিকট বেশি দামে বিক্রি করে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে মেসার্স সুপ্তি কৃষি ভাণ্ডার এর ডিলার আবুল আহাদ বলেন, কেউ বেশি দামে বিক্রি করছে কিনা জানি তবে আমি সঠিক দামেই ক্যাশমেমো দিয়ে সার বিক্রয় করছে৷

নির্ধারিত মূল্যেই সার বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের বিএডিসির ডিলার মোদাচ্ছের হোসেন রাজা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সাব ডিলাররা জানান আমরা ডিলাের কাছ থেকে আমরা সার কিনতে হয়। ডিলাররা বস্তাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দাম নিচ্ছে, এছাড়া ডিলার পয়েন্ট থেকে দোকান পর্যন্ত আনতে পরিবহণ ও শ্রমিক খরচ তো আছেই যার কারণে কেজিতে ১-২ টাকা বেশি নিতে হচ্ছে এবং এতে কৃষকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার বলেন,সারের দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে মোবাইল কোর্টসহ বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকি বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযান চলমান রয়েছে। কৃত্রিম সার সংকটের কোন সুযোগ নেই। সারের দাম বেশি নিলেই ব্যবস্থা৷

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।