পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর।।কেশবপুরের তিতলা বিশিষ্ট এস,এস,জি বরণডালী মাঃ বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মুহূর্তে একটা অঘটন ঘটতে পারে। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও পাইনি কোন সুফল। উল্লেখ্য এস,এস,জি বরণডালী হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল হলেও কার্যক্রম চলে মাধ্যমিক পর্যন্ত।
সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের বরণডালী গ্ৰামে নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে ইং-১৯৬৭ সালে তিতলা বিশিষ্ট নির্মিত বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। নানা স্থানে ধরেছে ফাটল, প্লাষ্টার খসে পড়ে রড বের হয়ে মরিচা পড়েছে। যেকোনো মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা-সহ স্থানীয়রা।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস পরিচালনাসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক অবস্থা বিরাজ করছে। ভবনটি এই মুহূর্তে সংস্কার বা শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে না নিলে যে কোন মুহূর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাস জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেশবপুর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কেশবপুর, নির্বাহী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর যশোর ও প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ঢাকা-সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও এখনো পর্যন্ত কোন সুফল পায়নি।
বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে স্কুল পরিচালনা করছি। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের দ্রুত কোন ধরনের পদক্ষেপ না নিলে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে একটা দুর্ঘটনা।
তিনি আরও জানান, আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণীর থেকে কারিগরি (৯ম, ১০ম)-সহ ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০২ জন শিক্ষার্থী অধ্যানরত আছে।
এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, “আমি সরেজমিনে তদন্ত করে বিষয়টা বলতে পারবো।”
শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর যশোরের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাদিউজ্জামান বলেন, আমি স্কুল পরিদর্শন করে হেড অফিসকে অবহিত করার পর হেড অফিস ২০ লক্ষ টাকার একটা বরাদ্দ দিয়েছে। কিভাবে করতে হবে হেড অফিসকে ডিজাইন চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি ডিজাইনটা আসলে আমরা দ্রুত সময় কাজ করতে পারবো।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।