আরিফুল ইসলাম রিয়াজ।।বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দলুয়াগুনী গ্রামে কীটনাশক বিক্রেতার ভুলেএক চাষী ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে ঐ গ্রামের লাইসেন্সধারী কীটনাশক বিক্রেতা মোঃ হাসান আলির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, ভুলবশতঃ পোকামাকড় নিধনকারী কীটনাশকের পরিবর্তে কীটনাশক বিক্রেতা ঘাস ও লতাপাতা নিধনকারী রিফিট প্রদান করেছেন, যার ফলে হাবিবুল্লাহ শেখ নামে ওই চাষীর ফলন্ত তরমুজ গাছ মারা পড়েছে।
হাবিবুল্লাহ শেখ জানান, তিনি ১ একর ২০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন এবং ইতোমধ্যে হারভেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। গত সপ্তাহে কীটনাশক নিতে গিয়ে তিনি স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতা হাসান আলীর কাছে গিয়ে কৃত্রিম পোকামাকড় দমনের জন্য যথাযথ কীটনাশক চেয়েছিলেন। কিন্তু বিক্রেতা ভুলবশতঃ তাকে ঘাস ও লতাপাতা নিধনকারী কীটনাশক দিয়ে দেন।
হাবিবুল্লাহ বলেন, “আমি যখন এই রাসায়নিকটি ব্যবহার করলাম, তখন আমার তরমুজ গাছগুলো পুড়ে যেতে শুরু করে। কয়েক দিনের মধ্যে আমার সমস্ত গাছ মরে যায় এবং আমি হতাশ হয়ে পড়ি। এরপর কীটনাশক বিক্রেতাকে জানালে তিনি সিনজেন্টা কম্পানির অ্যামিস্টার টপ নামক একটি কীটনাশক দিয়ে বলেন এটা স্প্রে করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তার কথামতো আ্যামিস্টার নিয়ে জমিতে গেলে পার্শ্ববর্তী জমি ওয়ালা বোতলটি দেখে তাকে জানান এটার মেয়াদ ২০২৪ সালেই শেষ হয়ে গেছে। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি উপজেলা কৃষি অফিসে অভিযোগ করেন। হাবিবুল্লাহ শেখ বলেন, আমি আমার ক্ষতির ক্ষতিপূরণ চাই। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় কৃষি অফিসের একটি সূত্র জানায়, হাবিবুল্লাহর ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা তাঁর পরিবার ও অর্থনৈতিক অবস্থানের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।স্থানীয় একধীক কৃষক বলেন, এ ধরনের ঘটনা কৃষকদের জন্য বিপর্যয়কর। আমাদের উচিত সচেতন হওয়া এবং বিক্রেতাকে আইনের আওতায় আনা যাতে ভবিষ্যতে এমন মারাত্মক ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।