অদিতি সাহা, খুলনার খবর।।ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলো। শারদীয় দুর্গোৎসবের বর্ণিল আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গতকাল মহাসপ্তমীর পূজা শেষ হওয়ার পর পালিত হচ্ছে মহাঅষ্টমী। এদিনের প্রধান আকর্ষণ কুমারী পূজা ও সন্ধিপূজা।
আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার প্রথা অনুসারে, আজ ভোর থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সন্ধিপূজা। সকাল ৯টার দিকে শুরু হবে কুমারী পূজা, যেখানে কুমারী বালিকাকে দেবী রূপে পূজা করছেন ভক্তরা। এরপর দুপুরে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ। হিন্দুশাস্ত্র মতে, এক থেকে ১৬ বছর বয়সী অজাতপুষ্পা, সুলক্ষণা ও অবিবাহিত কুমারী বালিকাকে দেবী রূপে পূজা করার প্রচলন রয়েছে। শ্রী রামকৃষ্ণের বাণী অনুসারে, শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর রূপ বেশি প্রকাশ পায়, আর মাতৃরূপ উপলব্ধিই কুমারী পূজার উদ্দেশ্য।
শাস্ত্রমতে, বয়স অনুসারে কুমারীর নাম ও দেবীর রূপ ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত—এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কলিকা, পাঁচে সুভাগা, ছয়ে উমা, সাতে মালনী, আটে কুজ্বিকা, নয়ে কালসন্দর্ভা, দশে অপরাজিতা, এগারোতে রুদ্রানী, বারোতে ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষ্মী, চৌদ্দতে পীঠনায়িকা, পনেরোয় ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোলো বছরে অন্নদা। নির্বাচিত কুমারীকে ভোরে গোসল করিয়ে নতুন পোশাকে সজ্জিত করা হয়। কপালে সিঁদুর, পায়ে আলতা ও হাতে ফুল দিয়ে দেবীরূপে অলংকৃত করে ষোড়শোপাচারে (ষোলো উপাদানে) পূজা করা হয়। এসময় ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি এবং দেবীস্তুতিতে মুখর থাকে পূজামণ্ডপ।
অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট—মোট ৪৮ মিনিটব্যাপী এই পূজায় দেবী চামুণ্ডার আরাধনা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই সময়েই দেবী দুর্গার হাতে মহিষাসুর ও শ্রী রামের হাতে রাবণ বধ হয়েছিল। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজার মাধ্যমে এবং এটি দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবেও বিবেচিত। পরদিন বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।